এনএম নুরুল ইসলাম: [২] ঠাকুরগাঁওয়ে একটি গ্রামে প্রায় এক-মাস ধরে দিনে তিন-চার বার আগুন ধরছে বাড়ি ঘরে। এমন ঘটনায় আতঙ্কে দিন পার করছেন এলাকার ২০টি পরিবার। ঘটনাটি ঘটছে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিনের সিংগিয়া গ্রামে।
[৩] ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই প্রতিদিন ৩-৪ বার আগুন ধরছে বাড়ীর বিভিন্ন স্থানে। কখনো রান্নাঘরে, কখনোবা কাপড়ের ট্রাংকের ভিতর, কখনও ঘরে চালাতে আবার কখন ও বিছানায়, গত ২০ দিনে প্রায় পঞ্চাশ এর ও অধিক আগুন লেগেছে ২০ পরিবারের বাড়ী-গুলোতে। আগুন নেভানোর জন্য ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক পাম্প স্থাপন করেছেন গ্রামের লোকজন স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যক্তি-বর্গের সহযোগিতায়।
[৪] মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সিংগিয়া গ্রামটি পরিদর্শন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড কে এম কামরুজ্জামান সেলিম। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
[৫] জেলা প্রশাসক ড কে এম কামরুজ্জামান সেলিম সংশ্লিস্ট সকলের সাথে কথা বলেন। তিনি প্রতিটি বাড়িতে ১ জন করে গ্রাম পুলিশ রেখে সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্হা করার জন্য ইউএনও এবং ওসিকে বলেন। বিষয়টি এর মধ্যে সুরহা না হলে ঢাকা হতে সংশ্লিস্ট দপ্তরের টীম আসবে বলে তাদেরকে অবহিত করেন। পরে জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারের মাঝে প্রত্যেক পরিবারের জন্য ৩ বান টিন এবং ৯ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।
[৬] এসময় উপস্তিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম, বালিয়াডাঙ্গি উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল , উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা যোবায়ের হোসেন, ঠাকুরগাঁও ওসি (ডিবি) মোসাব্বেরুল হক, বালিয়াডাঙ্গী থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান দিলীপ। সম্পাদনা: হ্যাপি