রাজু আহমেদ: [২] সুনামগঞ্জে দুই কিশোরীকে (পােষাক শ্রমিক) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে (২৭ এপ্রিল) জামালগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক কিশোরীর বাবা।

[৩] অভিযোগে জামালগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের চাঁনপুর আবুরহাঁটি গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৫) ও হরমুজ আলীর ছেলে আবুল কালাম'কে (২৬) আসামি করা হয়েছে।

[৪] দুই কিশোরী বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

[৫] জামালগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আমাদের সময় ডটকম-কে জানান, এক কিশােরীর বাবার দায়ের করা মামলায় ধর্ষণে অভিযুক্তদের ধরতে সর্বােচ্চ চেষ্টা চলছে।

[৬] অভিযোগে উল্লেখ, জনৈক ব্যক্তির কিশোরী মেয়ে ও একই গ্রামের অপর ব্যক্তির পালিত কন্যা রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। লকডাউনের জন্য সম্প্রতি পরিবারের সঙ্গে তারা বাড়িতে আসে। সোমবার সন্ধ্যায় (২৬ এপ্রিল) পোশাক কারখানা খোলার খবরে তারা দু’জন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। বাড়ি থেকে চাঁনপুর হারুন মার্কেটের সামনে এসে অভিযুক্ত আবুল কালামের টমটম গাড়িতে ওঠে। এ সময় কালাম তার বন্ধু আলমগীরকেও গাড়িতে ওঠায়। ওই দুই কিশোরী জামালগঞ্জ ফেরিঘাটে এসে টমটম থেকে নামতে চাইলে চালক ঢাকার গাড়ি চলে না জানিয়ে তার গাড়িতেই বাড়িতে ফেরার কথা জানায়। তখন দুই কিশোরী বাড়ি ফেরার জন্য ওই গাড়িতে উঠে বসে। এসময় অভিযুক্ত আলমগীর তাদের হাতে জুস ধরিয়ে দিয়ে খেতে বাধ্য করে। জুস পান করার পরই দুই কিশোরী অজ্ঞান হয়ে যায়। অসুস্থ অবস্থায় আলমগীর ও কালাম দুই কিশোরীকে চাঁনপুর গ্রাম পার্শ্ববর্তী কান্দার ক্ষীরাক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

[৭] রাত ১১টার দিকে একই গ্রামের তোফাজ্জুল হোসেন ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমদেরকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখে তাদের স্বজনকে খবর দিলে অভিযোগকারী, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাদেরকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক ভিকটিমদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন ওই দুই কিশোরী। সম্পাদনা: হ্যাপি