রাশিদুল ইসলাম : [২] চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন ভারতের জন্যে দুয়ার খোলা। ভারতের করোনা সংকটে গভীর সহানুভূতি জানিয়েছেন তিনি। সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি। দি প্রিন্ট
[৩] চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে গ্লোবাল টাইমস বলছে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে। চীন সহ আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মন্ত্রীরা অংশ নিলেও অনুপস্থিত ছিল ভারত ছাড়াও মালদ্বীপ ও ভুটান।
[৪] চীনের তরফ থেকে বৈঠকে ‘বৈচিত্রপূর্ণ এবং স্থিতিশীল’ ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য নমনীয় পদ্ধতিগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। ভারত মনে করছে চীন ভ্যাকসিন কূটনীতির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার করছে।
[৫] চীন থেকে অক্সিজেনের চালান ইতিমধ্যে ভারতে পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিনামূল্যে সহায়তা, বাণিজ্যিক সংগ্রহ এবং উৎপাদনের আশ্বাস দিয়েছে চীন। বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শের মাধ্যমে এসব দেশে জরুরি ভ্যাকসিন সরবরাহে গুদাম স্থাপন এবং কোভিড মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা অন্বেষণে রাজি রয়েছে চীন।
[৬] ভ্যাকসিনের পাশাপাশি চীন এসব দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, সহযোগিতা গভীরতর ও দারিদ্র বিমোচনে কাজ করতে রাজি হয়েছে।
[৭] গত বছর জুলাই থেকে চীন ধারাবাহিকভাবে এ ৬টি দেশের সঙ্গে কোভিড মোকাবেলা ও দারিদ্র বিমোচনে আলোচনা চালিয়ে আসছে। এসব আলোচনা দেশগুলোর মধ্যে কার্যকরভাবে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একটি ভিত্তি এনে দিয়েছে বলে জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
[৮] এর পাশাপাশি এসব দেশ চীনের ‘বেল্ট এন্ড রোড ইনেশিয়েটিভ’ এর কাঠামোর অধীনে সহযোগিতা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত বলে সিজিটিএন’এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।