শিমুল মাহমুদ, মহসীন কবির: [২] মঙ্গলবার ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সভায় রাশিয়ার টিকা স্পুতনিক-ভি’র জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিক্যাল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি এই অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার এই টিকা আমদানি ও ব্যবহারে আইনি বাধা দূর হলো।
[৩] ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, মে মাসেই আসছে রাশিয়ার টিকা স্পুতনিক-ভি। আপাতত ৪০ লাখ ডোজ আসার সম্ভাবনা আছে।
[৪] তিনি বলেন, মূলত সরকারিভাবে (জি-টু-জি) এই ভ্যাকসিন আমদানির বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। এরপর সেটি আমদানি করা হবে। সরকার আলোচনা করে এই ভ্যাকসিনের দাম নির্ধারণ করবে।
[৫] মাহবুবুর রহমান বলেন, রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন আমদানি কেবল নয়, দেশেই উৎপাদনের বিষয়েও কথা চলছে। এরই মধ্যে ইনসেপটা রাশিয়ার সঙ্গে কথাও বলছে। ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী আরও ফার্মাসিউটিক্যালস দেশে আছে। আশা করা যায়, দেশেই এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
[৬] তিনি বলেন, স্পুতনিক-ভি ছাড়াও চীনের সিনোফার্মের (চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ) বিষয়েও কাজ করছি আমরা। যে ভ্যাকসিন দেশের জন্য প্রয়োজন, বিভিন্ন উৎস থেকে সেটি পাওয়ার চেষ্টা করছি।
[৭] এর আগে চীনের সিনোফার্ম এবং রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন কেনার জন্য সুপারিশ করেছিল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির উৎস ও সংগ্রহসংক্রান্ত কোর কমিটি। সোমবার কমিটি তাদের এ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
[৮] বাংলাদেশে ইনসেপটা, পপুলার ও হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ভ্যাকসিন উৎপাদন করে থাকে বলে ব্রিফিংয়ে জানান মাহবুবুর রহমান। এর মধ্যে ইনসেপটা ১৪ ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন করে থাকে। এসব কোম্পানির মাধ্যমে দেশে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা যায় কি না, সেই সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।