কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] সোমবার দৈনিক আল কাবাসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশি সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলের সর্বশেষ এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
[৩] কুয়েতের আপিল আদালত মানব পাচারের মামলায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাজেন আল জারাহ, কুয়েতের সাবেক সাংসদ সালাহ খুরশিদ ও একজন সরকারি কর্মকর্তা কারাদণ্ডাদেশ দেন।
[৪] আরব নিউজ, আল আনবার, আল রাই ও আরব টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে গত বছর ২৮ জানুয়ারী চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত। এর পর বাংলাদেশে তার সংসদ সদস্য পদ বতিল করা হয়।
[৫] তার বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অর্থপাচার, শ্রমিক শোষণ, ঘুষ লেনদেন এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকির অভিযোগ আনা হয়।
[৬] কুয়েতের এক আমলাসহ তিনজনকে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন বাংলাদেশি এই সাংসদ।
[৭] কুয়েতের দুই এমপি এছাড়াও ৭ জন সিনিয়র কর্মকর্তা এবং ৩ টি সংস্থায় কর্মরত অন্তত ২১ জন ফেঁসে গেছেন।
[৮] কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশনে পাপুলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। এর মধ্যে তার প্রতিষ্ঠানের এক হিসাবরক্ষক রয়েছেন। পাপুলসহ কারাগারে আছেন মোট ছয়জন।
[৯] বাংলাদেশের কোনো সাংসদকে এর আগে কখনই বিদেশের মাটিতে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি।