আবদুল করিম: [২] চট্টগ্রামের স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মানবিক সংগঠন "এক টাকায় আনন্দ" দিল দুইশ অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে ঈদ ফুড প্যাক। চলমান করোনার লকডাউনে যাদের ঘরে সরকারী কিংবা বেসরকারী কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি এমন কর্মহীন অসহায় দিনমজুর ও দরিদ্র পরিবারের খোঁজ নিয়ে তালিকা করে তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে পৌঁছে দেয়া হয় এসব ঈদ ফুড প্যাক।
[৩] শনিবার ও রবিবার এ মানবিক সংস্থার কর্মীরা লোহাগাড়ার আমিরাবাদ, পুটিবিলা, কলাউজান, আধুনগর, বড়হাতিয়া, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রাম নগরীর সিটি গেইট, লালখান বাজার, লালদীঘির পাড়, চকবাজার, অক্সিজেন মোড়, ওয়াসা মোড় ও আকবর শাহ এলাকার কর্মহীন দিনমজুর ও দরিদ্র পরিবারে এসব ঈদ ফুড প্যাক বিতরণ করেন।
[৪] বিতরণ করা এসব ঈদ ফুড প্যাকে রয়েছে- চাল ২ কেজি, ছোলা ১ কেজি, আলু ২ কেজি, পেঁয়াজ ১ কেজি, সয়াবিন তৈল ১ লিটার, চিনি ১ কেজি, চিড়া ১ কেজি, আটা ১ কেজি, নুড়ুলস ১ প্যাকেটসহ প্রতিটি প্যাকে ১১ কেজি ওজনের ৯টি খাদ্যপণ্য।
[৫] এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির উপদেষ্টা মোঃ আব্দুর রহিম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, প্রধান নির্বাহী পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা মোঃ জাবের হোসাইন সাকিব, পরিচালক মিনার মাহমুদ, ইফতেখার ইকন, মোঃ শাহনেওয়াজ, নির্বাহী সদস্য মিশকাতুল ইসলাম কায়েস, ফয়সাল হামিদ জিসান, ইমাম হাসান সাকিব, মোঃ নাবিল, সিফাত ও শাহরিয়া ফরিদ প্রমুখ।
[৬] সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক ও প্রতিষ্টাতা জাবের হোসাইন সাকিব জানান, আমাদের ‘এক টাকায় আনন্দ'একটি মানবিক সংস্থা। সংস্থাটি অসহায়, দরিদ্র, পথশিশু, পথচারী ও এতিম শিশুদের নিয়ে কাজ করি। সংস্থাটির মুল থিম হচ্ছে দেশের কোন পথশিশু, অনাথ শিশু, পথচারী ও এতিম শিশু না খেয়ে, কাপড় না পরে এবং স্কুলে না গিয়ে থাকবে না। দেশে চলমান করোনাকালে ঘরে আটকে পড়া কর্মহীন দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের ঘরে এবার ঈদ ফুড প্যাক পৌঁছে দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালাম। সংস্থাটির সদস্যরা আমরা সবাই ছাত্র। ঈদ ফুড প্যাক বিতরণ ছিল আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানবিক ক্ষুদ্র প্রয়াস। সম্পাদনা: হ্যাপি