মাসুদ আলম : [২] ফেক ফেসবুক আইডি খুলে অশ্লীল ছবি পোস্ট করে ও ভিডিও তৈরি করে এক ছাত্রীর আত্মীয়-স্বজনদের পাঠিয়ে ব্লাকমেইল করছিলো সাবেক প্রেমিক ইমরান হোসেন । সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্তার শিকার ওই ছাত্রী ছেলের পরিবারকে জানিয়েও প্রতিকার পাননি। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে মেসেজে বিস্তারিত জানান তিনি। পরে ওই ছাত্রীর পাশে দাঁড়ায় পুলিশ।
[৩] প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে পুলিশ ইমরানের পরিবারকে গাজীপুরের বাসন থানায় ডেকে মুছলেকা নেয় ও বিদেশে অবস্থানরত ছেলেকে অপকর্ম থেকে নিবৃত করে। ইমরানের পরিবার বাসন থানা এলাকায় থাকেন।
[৪] পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, মৌলভীবাজার জেলা থেকে মেডিকেল পড়ুয়া এক ছাত্রী একটি বার্তা পাঠান। তিনি উল্লেখ করেন, তার সঙ্গে এক ছেলের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু সম্পর্কের কিছু দিনের মধ্যেই সে জানতে পারে ছেলেটি ভালো নয়। মাঝে মাঝে নেশা করে এবং স্বভাব-চরিত্রও ভালো নয়। জানার পর ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সে। কিন্তু ছেলেটি তাকে বিরক্ত করতেই থাকে। একপর্যায়ে পরিবারের উদ্যোগে ছেলেটি বিদেশে চলে যায়। সেখান থেকে সে মেয়েটির নামে ফেক আইডি খোলে এবং তার ছবি এডিট করে নানা অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তৈরি করে তা মেয়েটির স্বজনদের কাছে পাঠাতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে।
[৫] তিনি বলেন, ছেলেটির কথা না শুনলে সেই সব ভুয়া ছবি ও ভিডিও মেডিকেল কলেজে মেয়েটির সহপাঠী ও শিক্ষকদের কাছেও পাঠানো হবে বলেও হুমকি দেয়। মেয়েটি পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছিল না। মেয়েটির ভাষায়, ‘আমার পরিবারের সবাই কথা বলেছে। কিন্তু, ওই ছেলের বাবার কথা হলো, ওনার ছেলে যা ইচ্ছে করুক। আর আমরা যা পারি, যেন করি। উনি উনার ছেলেকে উস্কানি দিচ্ছেন। উনার প্রশ্রয়ে ওনার ছেলে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ওই ছেলে আমার মেডিকেলের সহপাঠীদের নক দিয়েছে। আমি কীভাবে মেডিকেলে যাব? আমি কীভাবে পড়াশোনা করব?’
মেয়েটির বৃদ্ধ বাবার শারীরিক অবস্থা, করোনাকাল ও দূরত্ব বিবেচনা করে অনলাইনে মেয়েটির পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ নেয় থানা পুলিশ।