সাদেক আলী: [২] লকডাউন শুরু হয় গত ১৪ এপ্রিল। দুদিন আগে থেকেই ঢাকা থেকে গ্রামে গেছেন বহু মানুষ। ২৫ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা শপিংমল ও দোকানপাট খোলা থাকার ঘোষণার পর সংশ্লিষ্টরা তড়িঘড়ি করেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ফেরি পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।
[৩] একজন যাত্রী বলেন, লকডাউনের সময় তিনটি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। গাদাগাদি করে ফেরিতে করে নৌরুট পার হতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল যাত্রীদের জন্য লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।
[৪] এক ব্যবসায়ীর গাড়ি চালান সালাম সরদার। তিনি বললেন, মার্কেট খোলার ঘোষণা শুনেই স্যার যশোর থেকে রওয়ানা করেছেন।
[৫] ফরিদপুর অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিধিনিষেধ শিথিল করার আগেই অনেক মানুষ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এ অবস্থাতেও পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য।
[৬] বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাট শাখার বাণিজ্য বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে তিনটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছি। যে কারণে ফেরিঘাট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ জানা যাবে এ রুটে কয়টি ফেরি চলাচল করবে।
[৭] গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ রয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ঢাকায় যাচ্ছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের ফেরিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব