মঞ্জুরুল আলম পান্না: মামুনুল হকের নারী ঘটিত কোনো বিষয়ে কখনো কিছু লিখতে ইচ্ছে হয়নি। বিষয়টি আমার কাছে খুব হালকা মনে হয়েছে। বরং তার এবং তার সংগঠনের ধর্ম ব্যবসা এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের প্রভাবটাই আমার কাছে মুখ্য মনে হয়েছে সাম্প্রতিক সময়েও। এই মুহূর্তে মামুনুলের দ্বিতীয় স্ত্রী-ই কেবল নয়, দ্বিতীয় স্ত্রী ‘ঝর্ণার বাবাকে নিয়েও আমি লিখতে চাই একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণে। ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা এই মানুষটার একটা সংবাদ দেখে বিস্মিত হলাম। ফরিদপুরের আলফাডাঙার এই মানুষটি আওয়ামী লীগের একটা ওয়ার্ড কমিটির সদস্য। তৃণমূলের সেই ওয়ার্ড কমিটি থেকেও না কি তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার ‘বিপ্লবী আওয়ামী’ নেতার।
তার অপরাধ তিনি মামুনুলের দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার বাবা। বাপরে বাপ...! আওয়ামী লীগ যে এমন সহি-শুদ্ধ দল, তাতো জানা ছিলো না! এতোটাই সহি-শুদ্ধ যে যেনতেন কারণে একজন মুক্তিযোদ্ধাকেও অপমান করতে এখন আর কোথাও বাঁধে না দলটির। তবে রাজাকারের সন্তান এই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবিতে থাকতে পারবে, মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে দলে দলে জামায়াত-শিবিরের লোকজনকে আওয়ামী লীগে ঢোকানো যাবে, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-নেশাখোররা দলের নেতৃত্বে থাকবে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ওলিয়ার রহমানরা কেন থাকবে দলে? হাসতে আমাদের কষ্ট হয় বৈকি...। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :