ম ইনামুল হক : আওয়ামী লীগ এই সংকট থেকে বেরুতে পারবে না, স্বাস্থ্য গুরুদের প্ররোচনায় আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী কড়া লকডাউন দিয়ে এক অভূতপূর্ব সংকট সৃষ্টি করেছে। এ থেকে সে আর বেরুতে পারবে না। এর আগে, সহনীয় লকডাউন দেয়োর সাথে সাথেই জনগণ প্রতিবাদ করে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। তখন কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় থাকার উদগ্র আকাক্সক্ষায় আওয়ামী লীগ যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তত, তাই সে করেছে। আওয়ামী লীগের সমর্থক বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমলা ও রাজনীতিবিদরা বিগত ১২ বছরে পাহাড় প্রমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে শহরের দালান কোটায় নিশ্চিন্তে আছে। তাদের সন্তানরা রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন পদে নিয়োজিত হয়ে নিশ্চিত বেতন ভাতা পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এবারের কড়া লকডাউন দেশবাসীর নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের মাজা ভেঙে দিয়েছে। মধ্যবিত্ত হুমকির মধ্যে পড়েছে। তারা আর উঠতে পারবে না। বাংলাদেশের গরিব খেটে খাওয়া জনগোষ্ঠীর কথা বলতে গেলে বুক ভারী হয়ে যায়।
মিথ্যাচার ও প্রতারণাপূর্ণ সংস্কৃতির সমাজে পরস্পরের পকেট মারা অর্থনীতিতে তারা কোনক্রমে বেঁচে ছিলো। এখন তাদের দিকে তাকিয়ে দেখার কেউ নেই। শহরে বিত্তশালীরা করোনার টিকা নিয়ে কাতারে কাতারে মরছে। তাদের মৃত্যুর হিসেব হচ্ছে, কিন্তু গ্রামে কতো লোক না খেয়ে মরছে, তার কোনো হিসেব নেই। আওয়ামী লীগ এই সংকট থেকে বেরুতে পারবে না। ঈদের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইলেও স্বাভাবিক হবে না। তার শাসনামলে সৃষ্ট সুবিধাভোগী উচ্চবিত্তের মধ্যেও একধরনের অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সারা দেশের জনগণ থেকে দল ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন বিচ্ছিন্ন, ফলে পরিস্থিতি যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে। আওয়ামী লীগকেই এর পরিণতির দায় বহন করতে হবে।
লেখক : প্রকৌশলী আহবায়ক, সর্বজন বিপ্লবী দল