ইসলাম ডেস্ক: মাহে রমজান অত্যন্ত বরকতময় এবং আল্লাহর মহিমান্বিত মাস। পবিত্র এ মাস দোয়া কবুলের মাস। এ মাসের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। রমজানে ইবাদত করলে সওয়াব বেশি। রমজানে ইবাদত করলে অন্যান্য মাস বা সময়ের থেকে দশ থেকে সাতাশ গুণ বেশি সওয়াব পাবে বান্দারা। আর আল্লাহ তা’আলা নিজে রোজার প্রতিদান দেবেন। ডেইলি বাংলাদেশ
রমজান মাসে ইবাদতের বিষয়ে হযরত আবু হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক আদম সন্তান ভালো কাজের প্রতিদান দশ থেকে সাতশ’ গুণ বেশি পাবে। রোজা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ নিজেই এর প্রতিদান দেবেন। (মুসলিম–২৭০৭)
সেহরি খাওয়া বরকত: সেহরি খাওয়া সুন্নত। হজরত মুহাম্মদ (সা.) রোজাদারকে সেহরি খাওয়ার জন্য বলেছেন। রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, তোমরা সেহরি খাও। কেননা, সেহরিতে বরকত আছে। (সহিহ মুসলিম : ১০৯৫)
সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময় সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব। তবে সেহরি খাওয়ার ক্ষেত্রে এতটা বেশিও সময় নেয়া যাবে না যাতে সুবহে সাদেক হওয়ার আশঙ্কার সৃষ্টি হয়।
জামাতে নামাজ আদায়ের সওয়াব: আজানের কিছুক্ষণ আগে থেকে মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। বাসায় অজু করে মসজিদে গিয়ে প্রথমেই ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’-দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। মুয়াজ্জিন আজান দেয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বিভিন্ন দোয়া পড়া ও কোরআন তেলাওয়াত করার জন্য সময় থাকে। মুয়াজ্জিন আজান দেয়ার সময় আজানের জবাব দেয়া সুন্নত। এরপর আজান শেষ হলে আজানের দোয়া পড়া সুন্নত। আজান শেষ হলে নামাজ শুরুর আগ পর্যন্ত দোয়া পড়া ও কোরআন তেলাওয়াত করা যেতে পারে। এরপর আজান শেষে জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায় করা এবং ফরজ নামাজের সুন্নত আদায় করা।
জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের বিষয়ে ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, একাকী নামাজ আদায়ের চেয়ে জামাতে নামাজ আদায়ে সাতশ গুণ বেশি সওয়াব। (বুখারি, হাদিস নং : ৬৪৫)
এছাড়াও রাসূল (সা.) বলেন, ‘নামাজের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তি নামাজে আছেন তথা নামাজে থাকার সওয়াব পাবেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ৬৪)