সমীরণ রায়: [২] বুধবার বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বিএসএএফ) প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী ও সমন্বয়ক শেখ জনি ইসলাম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, কওমি মাদরাসার কোমলমতি ছাত্রদেরকে উসকানি দিয়ে মাঠে নামিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতার আন্দোলনের নামে সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের প্রকাশ্যে হেফাজতে ইসলাম হলেও নেপথ্য নায়ক অন্য কেউ। আর সেই সময়ের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর লক্ষ্য করলেই তা স্পষ্ট হবে, বিএনপি-জমায়াতই তাদের আন্দোলনের নেপথ্যের কারিগর ও পৃষ্টপোষক। এটি দিবালোকের মত স্পষ্ট। তাই এই নেপথ্য নায়ক, কুশিলব, হেফাজতের হরতালে সমর্থনদাকারী ও পৃষ্টপোষকদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।
[৩] তারা বলেন, হেফাজতে বর্তমান কমিটির অধিকাংশ নেতৃত্বই হলো বিএনপি-জমাত জোটের শরিক খেলাফত মজলিশ (ড. আহমেদ আবদুল কাদের), ইসলামী ঐক্যজোট (এডভোকেট আবদুর রকিব) অংশের নেতারাই। এরা কমিটির প্রায় ৭০%। অন্য ইসলামিক দলের নেতাদের আধিপত্য একেবারেই কম। সুতরাং এর পেছন থেকে বিএনপি-জমায়াতের পরোক্ষ পৃষ্টপোষকতা রয়েছে।
[৪] তারা আরও বলেন, হেফাজতের হরতালে ২০ দল প্রকাশ্যে সমর্থন না দিলেও জমায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট এহসানুল হুদা প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন এবং দলের নেতা-কর্মীদের নিয়েও মাঠে থাকার ঘোষণা দেন।
[৫] তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঐক্যের প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিক্রিয়াশীল, ৭১'র পরাজিত শক্তি ও জমায়াতের পৃষ্টপোষকতায় বেড়ে উঠা ষড়যন্ত্রকারী হেফাজত নেতাদের পাশাপাশি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) ইবরাহিম, জাতীয় দলের সভাপতি এডভোকেট এহসানুল হুদা, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাই দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশের লক্ষ্যে এদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করছি।