আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]ভারত-পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অবস্থানে আরও অবনতি [৩]চীন-মিয়ানমারের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।
[৪] বিশ্বের ২৬টি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নীপিড়ন হচ্ছে। এইড টু দ্য চার্চ ইন নিডের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্বের প্রতি ৩ দেশের একটিতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হচ্ছে। ২০১৮ থেকে ২০ সালের মধ্যে বিশে^র ১৯৬ দেশের ৬২টিতে অন্যের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সম্মান দেওয়া হয়নি।
[৫] প্রতিবেদন অনুযায়ী যে ২৬ দেশে নিপীড়ন হচ্ছে, তার ৯৫ শতাংশ দেশে পরিস্থিতি আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। শুধু বাংলাদেশেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়নি। এই তালিকায় নতুন করে ৯টি দেশ স্থান পেয়েছে। ৭টি আফ্রিকার ও দুটি এশিয়ার।
[৬] প্রতিবেদন অনুযায়ী, নীপিড়নের নতুন ট্রেন্ড হিসেবে ডিজিটাল টেকনলজির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। এই ক্ষেত্রে অগ্রদূত চীন। চীন সংখ্যালঘুদের উপর নজরদারীর জন্য ৬২ কোটি ৬০ লাখ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত ক্যামেরা ব্যবহার করছে। জিহাদী গ্রুপগুলোও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছে।
[৭] বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যালঘু নির্যাতন বাড়েনি। তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামী গ্রুপগুলোর প্রভাব বাড়ছে। সেটি সামাল দিতে সরকার যথেষ্ঠ চেষ্টাও করছে।
[৮] যে ৩ দেশে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ, সেই ভারত, চীন ও মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি নীপিড়নের শিকার হচ্ছেন মুসলিমরা। তবে ৩ দেশে ধরণ ভিন্ন। চীন সরাসরি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প গড়ে উইঘুরদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। ভারত আইনের পরিবর্তন ঘটিয়ে সংখ্যালঘুদের কোনঠাসা করছে। আর মিয়ানমার গণহত্যা চালিয়ে লাখ লাখ মুসলিমকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।