শিরোনাম
◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি ◈ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে: সিইসি ◈ ভারতের রপ্তানি করা খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ ◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের স্বাক্ষর ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:৩৮ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজী নাসিরুদ্দিন আহমেদ: উচ্চ শিক্ষার একটা বড় বৈশিষ্ট্য উচ্চ নৈতিকতা ধারণ করা

গাজী নাসিরুদ্দিন আহমেদ: উচ্চ শিক্ষার একটা বড় বৈশিষ্ট্য উচ্চ নৈতিকতা ধারণ করা। সেই হিসেবে আমাদের দেশের উচ্চ শিক্ষা মোটামুটি ব্যর্থই বলা চলে। না হলে বিএসএমএমইউ’র এসোশিয়েট প্রফেসর কিভাবে পুলিশকে এই বলে গালি দেন, তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই বলে পুলিশ হইছিস? এই বর্ণবাদী মন তৈরি করেছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। আমরা দেখতাম, নবম শ্রেনীতে ওঠার সময়ই তথাকথিত ভাল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগ দেওয়া হতো। স্কুলের পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়াদের মানবিকে দেওয়া হতো। উইয়ার্ড একটা পদ্ধতি। বিশ্লেষণ ও উদ্ভাবনী শক্তি পুরোপুরি বিকাশ হবার আগেই শিক্ষার্থীদের সুযোগ সংকুচিত করে দেওয়া হয়। এতো গেল মেন্টাল ফ্যাকাল্টি ডেভলপ করায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি। বড় যে ক্ষতিটা হয় সেটা হল শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম মেধাবী ও বেশি মেধাবীর বিন্যাস করে অহম ও হীনমন্যতার দেয়াল তোলা। শিক্ষা জীবন, ক্যারিয়ার ও সমাজ জীবনে প্রচ্ছন্ন এক বর্ণবাদ তখনই জন্ম নেয়। নব্বইয়ের দশকে প্রশাসন ক্যাডারের বিরুদ্ধে পেশাজীবী ক্যাডার কর্মকর্তারা আন্দোলন শুরু করে। তখন আমার এক সরকারি প্রকৌশলী দুলাভাই আমাকে তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা বোঝাচ্ছিলেন এইভাবে, দেখ যারা মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চান্স পায় না তারাই তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তাই না? তারা বিসিএস দিয়ে আমাদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। এটা মানা যায়? মানা যায় কি না তা নিয়ে সেদিনও আমার মনে ধন্দ ছিল। আজও সেই দ্বিধা যায়নি। আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাই অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম হয়ে আমারদের ক্লাস নিতে এলেন। ক্লাসে এসে তিনি বললেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত চাকুরি কি জান? নিজ থেকেই বললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার পদে নিয়োগ পাওয়া। তো সেই বড় ভাইয়েরাই দেখলাম প্রশাসনের কর্তাদের সমমর্যাদার জন্য আন্দোলনে নামতে। আমার এক বন্ধুকে পুলিশ সার্ভিসে জয়েন না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় যোগ দেবার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তো সেই বন্ধু তাদের ওই আন্দোলনের সময় আমাকে সেই পরামর্শের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। আজকে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট-চিকিৎসক বচসার ঘটনায় একটা বড় সমস্যা তুলে ধরল। আমাদের পলিসি মেইকাররা সেদিকে চোখ দেবেন না জানি। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র ও প্রফেশনালদের এই সমস্ত সমস্যা কাটাতে নীতিনির্ধারকরা ভাবছেন না কেন? চোখ বন্ধ রাখার নীতি সমাজকে অন্ধ করে দিতে পারে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: পুলিশ প্রতিদিন মানুষকে নাজেহাল করে। আজ না হয় একজন ডাক্তারের হাতে পুলিশ নাজেহাল হল। তাতে আকাশ ভেঙে পড়ার কিছু হয়নি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়