আকরাম হোসেন রিপন: [২] করোনা কালীন সময়ে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে মানুষ যতোটা দূরে থাকতে চায় গাজীপুরের কাপাসিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ ইসমত আরা তখন বটবৃক্ষের ছায়ার মতো রাত দিন তার পাশে দাঁড়িয়ে পরিবারের সদস্যের মতোই আপন করে নেন। তার একমাত্র সন্তান স্বামী ও সংসার থেকেও আলাদা থাকতে হচ্ছে তাকে। এক সময় কোভিড-১৯ এর আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি নিজেও। আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির অবস্থার একটু অবনতি হলেই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটে চলেন তার বাড়িতে। খাবার এবং চিকিৎসা সবই যেন তার দায়িত্ব।
[৩] একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমাকে সরকার পাঠিয়েছেন মানুষের সেবা করতে আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাকে মানুষের এই সেবা দেয়ার সুযোগ করে দেবার জন্য। আমি স্বাসক হতে চাই না, মানুষের সেবক হতে চাই। মানুষের এই দুঃসময়ে মানুষের একটু সেবা করতে পারছি, এটাই আমার স্বার্থকতা। আমি তখনই আত্বতৃপ্তি পাই যখন বিপদে পড়া মানুষগুলো আমাকে দেখে একটু সস্থি পায়। আর আমার এই কাজের প্রেরণার মূলে রয়েছেন আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
[৪] জানাযায়, প্রথম কোন নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখে কাপাসিয়ায় যোগ দেন তিনি। তার আগে ৩০ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে গাজীপুর ডিসি অফিসে কর্মরত ছিলেন। পরাশুনা করেছেন ঢাকা হোম ইকোনোমিক্স কলেজে। কাপাসিয়ায় যোগদানের পরেই তিনি পুরো কাপাসিয়া চষে বেড়াতে থাকেন কাপাসিয়ার একজন কৃষক দিরমুজুর থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের ব্যাক্তির কাছে রয়েছে তার মোবাইল নম্বর। কল দিয়ে সমস্যা বলতেই হাজির তিনি। মহামারির পূর্বে বাল্য বিবাহ বন্ধে তার ছিল বিশেষ ভূমিকা। তারই রাতদিন পরিশ্রমে কাপাসিয়া ছিল বাল্য বিবাহ প্রায় শূণ্যের কোঠায়। পেঁয়াজ এবং লবণ দিয়ে সরকার বিরুধী ষড়যন্ত্রের সময় তিনি ছিলেন স্বচ্ছার।
[৫] তিনি ঘোষণা দিয়ে ছিলেন, যেখানেই অন্যায় সেখানেই হাজির হবো। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে নিয়ন্ত্রণে রেখে ছিলেন পুরু কাপাসিয়া। তার পরই শুরু হল এক নতুন যুদ্ধ সমগ্র বিশ্বের ন্যায় কাপাসিয়ায় ও শুরু হলো করোনার সংক্রমণ। চারদিকে যখন প্রত্যেকেই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা।
[৬] তিনি ব্যস্ত হয়ে গেলেন কিভাবে একটু সেবা দেয়া যায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের। কিভাবে একটু খাবার যোগীয়ে দেয়া যায় অর্ধাহারে অনাহারে থাকা ব্যক্তিদের। তাই তাকে বলাহয় কাপাসিয়ার শ্রেষ্ঠ করোনা যোদ্ধা।
[৭] করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধা শেষ হাসি হেসেছিলেন। তার যখন শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তখন তার বাড়িতে ইউএনওর অক্সিজেন সিলিন্ডার কাঁদে করে নিয়ে যেতে দেখে।
[৮] করুনা থেকে সুস্থ হওয়া রুমানা ও রাবেয়া সুলতানা জানায়, করোনায় আক্রান্ত হবার পর চারদিকে যখন অন্ধকার দেখছিলাম তখন প্রথমেই আমাকে ফোন করে শান্তনা দেন মাননীয় সংসদ সদস্য সিমিন হেসেন রিমি। তার কিছুক্ষণ পরই আমার সামনে হাজির হয়ে সকল প্রকার সাহায্যের আশ্বাস দেন ইসমত আরা ম্যাডাম সব হারানো আমি যেন আরো বেশি কিছু ফিরে পেলাম আমরা এখন সুস্থ্য আছি। বর্তমানে আবারো গর্জে উঠেছে করোনা। গাজীপুরের মধ্যে কাপাসিয়া উপজেলা আক্রন্তের নতুন নতুন রেকর্ড ভাংছে তাই আবারো ব্যাস্ত হয়ে উঠেছেন কাপাসিয়ার সেই সম্মুখ যোদ্ধা ইসমত আরা। আবারো শুরু হয়েছে তার রত দিন ছোটে চলা। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :