ইসমাঈল ইমু : [২] কলাবাগানে ফারদিন ইফতেখার দিহানের বাসায় ‘ও’ লেভেলপড়ুয়া মাস্টারমাইন্ড ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ ছিল ‘অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ’। ভিসেরা পরীক্ষাতেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার দাবি করেছে পুলিশসহ তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
[২] চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দুপুরে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ রয়েছে দিহানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি রাতেই ছাত্রীর বাবা দিহানকে একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এ মামলায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ঘটনার দিনই দিহানকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখায় কলাবাগান থানা-পুলিশ।
[৩] আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দাবি করেন, যৌন সম্পর্কের একপর্যায়ে রক্তক্ষরণে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। তবে এই দাবিকে নাকচ করছে ছাত্রীর পরিবার। এ ছাড়া, ওই ছাত্রীর স্কুলের শিক্ষার্থীরাও ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন। দিহান ছাড়া তার আরও তিন বন্ধু এ ঘটনায় জড়িত বলেও তাদের অভিযোগ। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছাত্রীর ময়নাতদন্তের পর ভিসেরার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অভিযুক্ত দিহানের ডোপ টেস্ট ও ডিএনএর নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনও চূড়ান্ত হয়েছে।
[৪] ভিসেরাসহ বেশ কিছু পরীক্ষার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপ্রস্তুত শারীরিক মিলনের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই ওই স্কুলছাত্রী মারা যান। ময়নাতদন্তের সময় মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা পাঠানো হয় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে। প্রায় তিন মাস পর সেই নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন তৈরি করেছে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ।