ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের মহারাষ্ট্রের পুণেতে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। হাসপাতালে মিলছে না বেড। এ অবস্থায় একাধিক হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে ভর্তি হতে পারেননি করোনা আক্রান্ত এক নারী। অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
তার স্বামী জানিয়েছেন, শেষের দিকে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন স্ত্রী। ফলে শনিবার (১৭ এপ্রিল) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছে পুণে পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, পুণের ওয়ারজে এলাকার বাসিন্দা ওই নারীর (৪১) সম্প্রতি শ্বাসকষ্ট এবং কাশি শুরু হয়। হাসপাতালে গিয়ে ১২ এপ্রিল করোনা পরীক্ষা করান। তার রেজাল্ট করোনা পজিটিভ আসে। তাকে নিয়ে তার স্বামী একের পর এক হাসপাতালে ঘুরতে থাকেন। কিন্তু কোথাও বেড পাননি তারা। বারে বারে তাদের হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে।
ওই নারীর স্বামী জানিয়েছেন, স্ত্রীর রীতিমতো শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু হাসপাতালে হাসপাতালে গিয়ে সে কথা বলেও বেড পাওয়া যায়নি। ফলে দিন দিন মানসিক অবসাদে ডুবে যান তার স্ত্রী।
তিনি দাবি করেন, তার বিশ্বাস ছিল যে ভাবেই হোক স্ত্রীকে ঠিকই বাঁচাবেন। কিন্তু বেড না পাওয়ায় মানসিক চাপ নিতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। যেহেতু হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা হয়েছিল, তাই নিয়ম মেনে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে পুণে পৌরসভা। পুলিশ ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ’-এর অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে ওড়িশাতেও। কিন্তু বেশির ভাগ জায়গার মতো সেখানেও টিকার জোগান কম। এ পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক দাবি করেছেন, সাধারণ মানুষের কাছে টিকা সহজলভ্য করতে খোলা বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করা হোক। এ দাবি জানিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠিও লিখেছেন নবীন পট্টনায়েক। সময়টিভি