হাসান মোরশেদ: ডা. এম এ হাসান তার গবেষণায় দেখিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের অক্সিলারী ফোর্স রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের হাতে ধর্ষিত বাঙালি নারীদের ৮০ শতাংশ ছিলেন মুসলমান। এটা যৌক্তিক। ভারতে যারা আশ্রয় নিতে পেরেছিলেন ৯০ শতাংশ ছিলেন অমুসলিম। তারাও নির্যাতিত হয়ে গিয়েছেন বা যেতে যেতে নির্যাতিত হয়েছেন। তবে যারা যেতে পারেননি, পুরো সময়টা জুড়েই এরা নির্যাতিত হয়েছেন। মোট ধর্ষিতের ৮০ শতাংশ মুসলমান, মোট নিহতের সংখ্যাও মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার কথা সংখ্যাতত্বের হিসাবে। এই যে এতো ব্যাপক সংখ্যক মুসলমান খুন হলো, ধর্ষিত হলো তারও একটা ধর্মতাত্বিক বয়ান সে সময় জারি হয়েছিলো। ধর্মীয় ফতোয়া দিয়েই সেটা জায়েজ করা হয়ছিলো।
যেহেতু এই বাঙালিদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী, সমর্থক ভোটার সেহেতু তারা প্রকৃত মুসলমান না। প্রকৃত মুসলমান না যারা, তাদেরকে মুসলমান বানানো ঈমানী দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে সহজ পথ হলো পুরুষদের বেশীর ভাগকে খুন করে সংখ্যা কমিয়ে দাও আর নারীদের ধর্ষন করে তাদের পেটে বাচ্চা জন্ম দাও। মুসলমান তার বাপের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়না। ‘আওয়ামী লীগ যারা করে তারা মুসলমান না’ এ বয়ান নতুন না। পৃথিবীর জঘন্যতম জেনোসাইডের জাস্টিফায়িং ন্যারেটিভ এটা ছিলো। নুরুল হক নূরু’র উচ্চারিত এই বয়ান তাই ভয়ঙ্কর, নৃশংস এবং আশঙ্কাজনক। এই বয়ানের গুরুত্ব আছে, এর পেছনে পরিকল্পনা আছে, ক্ষেত্র প্রস্তুতির আয়োজন আছে। মাইন্ড মাই ওয়ার্ডস, প্লিজ। ফেসবুক থেকে