শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা ◈ তালাক হলেও ফিরে আসার পথ—ইসলামী বিধান অনুযায়ী করণীয় ◈ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচন দায়িত্বে নতুন এসপিদের ব্রিফ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেলো এনসিপি, প্রতীক ‘শাপলা কলি’ ◈ ক্লাসে না ফিরলে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি ◈ ইসিকে তফসিল ঘোষণায় সময়সুবিধা বিবেচনার আহ্বান নাহিদ ইসলামের ◈ র‌্যাং‌কিং‌য়ের সেরা আটে মোস্তাফিজ, রিশাদ-ইমন-সাইফদের উন্ন‌তি ◈ ঢাকায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ক্লাব, খেল‌বে লাতিন বাংলা সুপার কাপ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ চেয়ে নতুন কর্মসূচি ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের (ভিডিও) ◈ ১৯ দেশে অভিবাসন ও গ্রিন কার্ড আবেদন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন”

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:১৫ বিকাল
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:১৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্থানীয় একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে ১০ হাজার কলাগাছ ধ্বংস করেছে পদ্মার চরে

লিয়াকত আলী লাভলু, চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের শেষ সীমানা ঘেষে চর মোজাফ্ফরপুর মৌজার ছোনেরটেক নামক পদ্মার চরে গড়া ৩০০ শত বিঘার বিশাল কলা বাগানের প্রায় ১০ হাজার  কলাগাছ ধ্বংস করে দিয়েছে প্রতিবেশী দুর্বৃত্তরা।

পার্শ্ববতী সদরপুর উপজেলার মধ্যে দুর্গম পদ্মার চরে উক্ত কলা বাগানটির অবস্থান। দুর্বৃত্তরা, শত্রতা করে দিনের পর দিন বাগানের মধ্যে গরু ছাগলের পাল চড়িয়ে এবং রাতের আধারে কলাগাছ কেটে রেখে বাগানটির ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ। উক্ত কলা বাগানের পাশের বসতি শেখ আঃ মান্নান (৫০), রহিম হাওলাদার (৫৫), মোহন বেপারী (৬০), ফারুক কাজী (৪৫) ও সিরাজ কাজী (৫০) এদের নেতৃত্বে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গত ক’য়েক দিনে বাগানের প্রায় ১০ হাজার কলাগাছ ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, পদ্মা নদীর ছোনেরটেক নামক চরটি একটু উচু এলাকা হওয়ায় সবরি কলা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। তাই তিনজন অংশীদার মিলে প্রায় ১০০ একর জমির উপর উক্ত বাগানটি গড়া হয়েছে। ওই বাগানের মালিকরা হলেন আলাউদ্দিন ফকির (৫০), মোহাম্মদ ফকির (৪৮) ও মান্নান মুন্সি (৬০)। বাগান মালিকরা পার্শ্ববতী দোহার উপজেলা ও চরভদ্রাসন উপজেলার বসতি। তারা মজুর খটিয়ে ও লোক রেখে বাগানটি গড়েছেন। এ কলাবাগানে মোট প্রায় ৮০ হাজার সবরি কলাগাছ রয়েছে। 

বাগান মালিক আলাউদ্দিন ফকির জানান, প্রায় দু’বছর ধরে পদ্মার চরে তিনি কলাচাষ করে চলেছেন।  এ বছর বাগান আরও বাড়িয়ে ১০০ একর জমি নিয়ে গড়া হয়েছে। পদ্মার চরে বিশাল এ কলাবাগান গড়তে প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। প্রতিদিন বাগানে প্রায় ২০/২৫ মজুর কাজ করে খাকে। কলাবাগানে সেচকার্য বা পানি সরবরাহর জন্য ইঞ্জিন চালিত ১৫টি নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে। বাগানে প্রতিনিয়ত সার কীটনাশক ও ভিটামিন ঔষধ সরবরাহ করতে প্রচুর অর্থ ব্যায় হচ্ছে। এ বাগানের উৎপাদিত সবরি কলা পাইকারী ব্যাবসায়ীরা রাজধানী ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন থাকেন। 

ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিক আরও জানান, পদ্মা চরের এ কলা বাগানের আশেপাশে রয়েছে ১২০ ঘর কৃষক পরিবার। এসব বসতিদের মধ্যে দুর্বৃত্তরা দিনের বেলায় বাগানের মধ্যে গরু ছাগল চড়িয়ে এবং রাতের আধারে কলাগাছ কেটে রেখে পাকা কলার ছড়া প্রতিনিয়ত চুরি করে চলেছে। তিনি জানান, একই জমিতে তিন দফায় কলাগাছ রোপন করেছি। দুর্বৃত্তরা তিনবারই কলাগাছগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। বাগান সীমানায় স্থাপিত লোহার বেড়া ভেঙে দুর্বৃত্তরা ১০ হাজার কলাগাছ বিনষ্ট করে দিয়েছে। এ ব্যপারে তিনি মামলা করার প্রস্তুতী নিচ্ছেন বরেও জানিয়েছেন। 

বাগান ঘুরে জানা যায়, বিস্তৃর্ণ এলাকার কলা বাগানের কোনো কোনো অংশে হাজার হাজার কলার চারা মরা ও আধামরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাগানের আরেক অংশে দেখা যায়, প্রতিবেশীদের গরু ছাগলের পাল বাগানে ঢুকে কলা গাছগুলো বিনষ্ট করে চলেছে। আরবাগানের  প্রতিবেশী গৃহস্থরা দেখেও না দেখার ভান করে চলেছেন। 

রবিবার উক্ত এলাকার বসতি এবং চরঝাউকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার রহিম হাওলাদারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “বিশাল এলাকা জুড়ে এ কলাবাগানটি গড়া হয়েছে।এলাকাবাসী জনচলাচলের জন্য বাগানের মধ্যে দিয়ে মালিকের কাছে ১৬ হাত চওড়া পথ চেয়েছিল। কিন্তু বাগান মালিক চলাচলের রাস্তা দিয়েছে মাত্র ৯ হাত চওড়া। এজন্য চরের লোকজন উক্ত কলা বাগানের উপর ক্ষেপে রয়েছে”। ওই এলাকার আরেক মাতুব্বর কালাম চৌকদার (৫৫) জানায়, “আমি বাগানের ক্ষতি না করার জন্য এলাকাবাসীদের বার বার অনুরোধ করেছি। এমনকি, বাগানে গরু ছাগল ঢুকলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে এ ঘোষনাও দিয়েছি। কিন্তু আাদের কথা কেউ শুনছে না”।        

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়