শিরোনাম
◈ গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিল বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ ◈ ৫ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক: আমানতকারীরা যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন ◈ জুলাই সনদ ও গণভোটের দাবিতে জামায়াতসহ আট দলের বিক্ষোভ, রাজধানীতে তীব্র যানজট ◈ এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজ গ্রেফতার ◈ ফের বেড়েছে সোনা-রুপার দাম, দেশে ভরি কত? ◈ ইসির চিঠিতে ‘আমজনতার দল’-এর নিবন্ধন না দেওয়ার নয় কারণ প্রকাশ ◈ ও‌য়েস্ট ই‌ন্ডিজ‌কে ৩ রা‌নে হা‌রি‌য়ে সি‌রিজ সমতায় নিউ‌জিল‌্যান্ড  ◈ এবার কোচ হ‌য়ে জাতীয় দলের ড্রেসিং রু‌মে রোমাঞ্চিত আশরাফুল ◈ ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণ করতে হবে : তারেক রহমান ◈ পদ না ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে যা জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:২১ সকাল
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডা. এ বি এম কামরুল হাসান: লকডাউনে স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্ভেজাল চলাচলে দুটি প্রস্তাব

ডা. বি এম কামরুল হাসান: আশঙ্কা সত্যি হলো। গেলো বছরের মতো ডাক্তাররা কর্মস্থলে যাতায়াতের সময় রাজপথে নিগৃহীত হয়েছে লকডাউনের প্রথমদিন। অথচ কোভিডের সময় সারা দুনিয়ায় ডাক্তাররাই মহানায়ক। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের যথাযথভাবে ব্রিফ করা হয়নি। তার প্রমাণ পাওয়া গেলো লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। আঠারো শ্রেণির ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত রেখে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ডাক্তার শ্রেণি যারা এই লক ডাউনের প্রথম দিন মহাভিলেন ছিলেন, তারা এখন নির্দেশিত আঠারো শ্রেণির শিখরে আছে। এমনটাই হওয়ার কথা, হচ্ছেও তাই সারা দুনিয়ায়। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও রাজপথে ডাক্তার হয়রানির খবর সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বিশেষ করে ডাক্তারদের গ্রুপে। লকডাউনের বাকি দিনগুলোতে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের হয়রানিবিহীন যাতায়াতের জন্য দুটি প্রস্তাব কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারে।

[১] সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রুটভিত্তিক শাটল বাস সার্ভিস চালু করতে পারে। মিটফোর্ড হাসপাতাল এ ধরনের একটি সার্ভিস চালু করেছে। তিনটি যানবাহন দিয়ে তারা তিন রুটে তিনবার করে সার্ভিস দিচ্ছে। হাসপাতালের নিজস্ব যানবাহন না থাকলে তারা ভাড়া নিতে পারে। জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।

[২]  লকডাউনে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্ভেজাল চলাচলের জন্য পুলিশ বিভাগ একটি ডেডিকেটেড ফোন নম্বর দিয়ে হেল্পলাইন চালু করতে পারে। কেউ কোনো হয়রানির শিকার হলে ওই হেল্পডেস্ক তাৎক্ষণিক সমাধানে এগিয়ে আসতে পারে। তেরো মাস ধরে স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তারা ক্লান্ত। পরিশ্রান্ত। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। স্বীকৃতি নেই। প্রণোদনার হদিস নেই। তারপরও তারা হাসিমুখে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে। মারাও যাচ্ছে। তারাই এ মহামারীতে মহানায়ক। অথচ তাদেরকে রাস্তা-ঘাটে হয়রানি করা হচ্ছে। মহাভিলেন বানানো হচ্ছে। তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তাতে পরোক্ষভাবে ক্ষতি হচ্ছে আপনার, আমার, সবার। লেখক : প্রবাসী চিকিৎসক, কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়