মাসুদা ইয়াসমিন : [২] রাতের আধারে পুলিশ পরিচয়ে অসহায় দরিদ্র এক দিনমজুরের প্রায় ১৮ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশের এক সোর্সকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ পূর্ব ডেন্ডাবর আরইবি রোড এলাকা থেকে মনির হোসেন নামে পুলিশ পরিচয়দানকারী ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
[৩] এসময় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক কায়সার হামিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উত্তেজিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মূলত পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরিদ্র মানুষের টাকা ছিনিয়ে নেয়ায় স্থানীয়রা পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে রাত ১১টার দিকে আরইবি রোডের হাজী মার্কেটের রাসেল স্টোর নামে একটি দোকানের সামনে থেকে পুলিশ পরিচয়ে কৌশলে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় মনির।
[৪] ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শকের (এসআই) সুদীপ কুমার গোপের ব্যক্তিগত লোক। তবে এসআই সুদীপ আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতা ও পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
[৫] পল্লীবিদ্যুৎ আরইবি অফিস সংলগ্ন হাজী মার্কেটের রাসেল স্টোরের মালিক আব্দুল জব্বার বলেন, রাতে আমার দোকানে ওনারা (লেবার) গাড়ি থাইকা কলা নামায় আইসা টাকাটা ভাগ করতাছিল। তখন পুলিশ পরিচয় দিয়ে একটা লোক বলতাছে, এত রাইতে দোকান খোলা কেন, বন্ধ কর। আমি দোকান বন্ধ কইরা দেয়ার পর ওই লোক (পুলিশ পরিচয়দানকারী) ওনাদের তিন জন লেবারকে বাইরে নিয়া গেছে।
[৬] জানতে চাইলে দিনমজুর (কলার লেবার) মো. কাজল বলেন, রাইতে আমরা চায়ের দোকানে বইসা টাকা গুনতাছিলাম। পুলিশের লোক কইয়া যাইয়া হাইরা কইতাছে, তোমরা কি কর? পরে আমগো তিনডারে খারা কইরা রাইখা সে সামনে থেকে এক লোকের ট্যাকা নিয়া দৌড় দিয়া পলায় গেছে। পরে পল্লীবিদ্যুৎ বাস স্ট্যান্ডে আইসা আমাগো লগে কাজ করে একজন তাকে ধরছে। সে সুদীপ পুলিশের পার্সোনাল লুক। হের নাম বেইচ্চা চলে আর কি।
[৭] তিনি আরও বলেন, ‘আমাগো পাঁচজনের তিন’শ কম ১৮ হাজার ট্যাকা নিছে। আমরা কলা নামাই, লেবার। আমরা হারা সপ্তাহের ট্যাকা প্রত্যেক বৃহস্পতিবারে পাই। ১৮-২০ হাজার কইরা আমরা ট্যাকা পাই।’
[৮] আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ বলেন, ‘ওই মনে হয় সোর্সের কাজটাজ করে। ওহানে বলে কি করছে? ও মনে হয় মাদকের ইয়েৃ। ফোন দেয়ার সাথে সাথে ওদিকে আমাদের পাপা ডিউটি ছিল ওনারা গেছে। বলছে, নিয়া আসছে থানায়। এটার ব্যবস্থা নিবো আমরা। আর অসুবিধা নাই, যার টাকা সে পাইয়া যাবে।’
[৯] এব্যাপারে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলম বলেন, ‘আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :