শরীফ শাওন: [২] মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে একই সময় সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ জন শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার ওয়েবিনারে এমজেএফ’র নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির বিষয়টি জবাবদিহিতার সংস্কৃতির আওতায় আনতে হবে। অভিভাবকরা বিশ্বাস করে শিশুকে শিক্ষাঙ্গনে পাঠান, সেখানে যদি এইভাবে নিপীড়নের শিকার হয়, তা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
[৪] বক্তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় নজরদারি না থাকার কারণে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন। মাদ্রাসায় ঠিক কী হচ্ছে এবং কীভাবে এখানে নিপীড়ন বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব, তা স্পষ্ট নয়। কওমি মাদ্রাসাসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা নির্যাতনের কথা এতদিন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও এখন সেইসব ঘটনা ক্রমশ সবার সামনে চলে আসছে।
[৫] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা বলেন, শুধু মাদ্রাসাতেই নয়, ২০২০ সালে ৭০০ ক্যাথলিক ধর্মগুরু এবং থাইল্যান্ডে মংকদের বিরুদ্ধের যৌন হয়রানির অভিযোগ এসেছে। ধর্মীয় কর্তৃপক্ষেরই উচিত হবে এখন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দেওয়া। নয়তো তাদের প্রতি মানুষের ধারণার পরিবর্তন ঘটবে।