সমীরণ রায়: [২] বৃহস্পতিবার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু নির্যাতন ও যৌন হয়রানি বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় নজরদারি না থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীদের ওপর যৌন নির্যাতনসহ অন্য নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রতিষ্ঠিত এইসব প্রতিষ্ঠানে কী পড়ানো হচ্ছে, জাতীয় সংগীত বাজানো হয় কিনা, সরকারি দিবসগুলো পালিত হচ্ছে কিনা এবং সর্বোপরি এখানে পড়াশোনা করে ছাত্রছাত্রীরা কোথায় যাচ্ছে, এসব নিয়েও জাতীয় পর্যায়ে তেমন কোনো আলোচনা নেই।
[৩] ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম এ আউয়াল হাওলাদার বলেন, নিপীড়ন বন্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে কী হচ্ছে এবং কী হতে পারে। আমাদের মানসিকতা ও নৈতিকতার পরিবর্তন ঘটানো খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।
[৪] বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশনা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী বলেন, বেশিরভাগ শিশুধর্ষণের ঘটনা ঘটে কওমি মাদ্রাসায়। সেসব মাদ্রাসা আবাসিক। অন্য জায়গাতেও হচ্ছে। আলিয়া মাদ্রাসায় খুবই কম হয়। পুরুষশিশু নির্যাতনের বিষয়টি আইনে স্পষ্ট হওয়া যেমন দরকার, তার চেয়ে আইনের প্রয়োগ বেশি প্রয়োজন। কেন শিশু নির্যাতনের অভিযোগ করেও আবার বলছে হয়নি, তা জানা দরকার।
[৫] বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সহযোগী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় নির্যাতন বেশি হচ্ছে। কওমি ধারার আবাসিক মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করতে হয়। এখানে যেসব শিক্ষার্থীরা আসে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা নিম্নমানের।
[৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা বলেন, ধর্মীয় কর্তৃপক্ষেরই উচিত হবে এখন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দেওয়া। নয়তো তাদের প্রতি মানুষের ধারণার পরিবর্তন ঘটবে।
আপনার মতামত লিখুন :