শিরোনাম
◈ ভারতকে প্রশ্ন না করায় সাংবাদিকদের সমালোচনায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা(ভিডিও) ◈ গাজা থেকে সিরিয়া, ইসরায়েলের নানা তৎপরতায় বাড়ছে উত্তেজনা ◈ বি‌শ্বের সব‌চে‌য়ে বয়স্ক রাষ্ট্রপ্রধান,  ৯২ বছরের পল বিয়া আবারও ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট ◈ আল ই‌তিহা‌দের কা‌ছে হে‌রে  কিংস কাপ থে‌কে রোনাল‌দোর আল নাসরের বিদায় ◈ টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি ক্রিকেট, পা‌কিস্তান‌কে ৫৫ রা‌নে হারা‌লো দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকা ◈ বিভিন্ন চাপে নির্বাচন কমিশন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় ◈ তুরস্কের ১৫২ রেফারি জুয়ার সঙ্গে জড়িত  ◈ ২০২৬ সা‌লের  বিশ্বকাপে খেলবেন লিও‌নেল মেসি! ◈ একসময় জাতির গর্ব, এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু: রাজনীতির খেলায় নিজের ক্যারিয়ার শেষ করলেন সাকিব আল হাসান ◈ যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা, নিহত অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৬ রাত
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরিফ জেবতিক: লোকগান শিল্পী এবং সংসদ সদস্য মমতাজ ভারতের ডক্টরেট ডিগ্রী

আরিফ জেবতিক: আমাদের কিংবদন্তী লোকগান শিল্পী এবং সংসদ সদস্য মমতাজ ভারতের গ্লোবাল হিইম্যান পিস নামের একটি ওয়েবসাইট ভিত্তিক 'ইউনিভার্সিটি' থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী জোগাড় করেছেন। উনার দেখাদেখি আমিও একটা ডক্টরেট কিনতে সেই সাইটে ঢু মেরেছিলাম, কিন্তু ব্যান্ডউইথ লিমিট ক্রস করায় ডক্টরেটের দোকানটি আপাতত বন্ধ আছে। মনে হচ্ছে, মমতাজের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আমার মতো আরো অনেকেই সাইটে দামাদামি করতে গেছেন।

আমাদের সব পত্রিকা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে এই খবরটি ছেপেছেন, কোথা থেকে কেমনে এই ডিগ্রী এসেছে সেটা গুগুল করার মতো সময় তাদের হয় নি। এতে করে মমতাজের সম্মানসূচক ডক্টরেটের উসিলায় উনার সম্মানে বরকত হোক, এই দোয়া আমিও করি।

সমস্যা এখানে নয়। সমস্যা হচ্ছে  ইন্ডিয়া সরকার কিন্তু এই ধরনের ফেইক ভার্সিটিগুলোর বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে। মমতাজ যে ওয়েব ভার্সিটি থেকে 'ডক্টরেট' নিয়েছেন সেই ভার্সিটি গত ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে চেন্নাইয়ে এক হোটেলে এরকম 'ডক্টরেট' প্রদানের অনুষ্ঠান করেছিল যেখানে ঐদিন মমতাজের মতোই ১২০ জনের 'সম্মানসূচক ডক্টরেট' দেয়ার অনুষ্ঠান ছিল। পুলিশের হানা টের পেয়ে সেই সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রত্যাশি লোকজন পড়িমরি করে দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে অনেকেই উস্টা খেয়ে পায়ের নখ ভেঙেছিলেন।

এখন আমাদের দেশেও কিন্তু এই ধরনের মাগনা খেতাব নেয়ার একটা ভালো ট্রেন্ড আছে। এখানে মাদার তেরেসা পদক, গান্ধী পদক, এরকম নামে ক্রেস্ট বিতরন করা হয় এবং পয়সা দিয়ে সেই পদকগুলো অনেকেই কিনে নেন।

গোটা বিষয়টাকে একটা ইন্ডাস্টিলাইজেন করার জন্য আমি প্রস্তাব দিচ্ছি। ধরুন সেপ্টেম্বরের সেই ডক্টরেট বিতরন অনুষ্ঠানে মমতাজ আছেন এবং তাকে ইন্ডিয়ার পুলিশ এরেস্ট করে তারপর জানল যে তিনি আমাদের দেশের একজন এমপি- এতে আমরা কী পরিমান হাসাহাসির শিকার হতাম !

এখন জিনিসটা যদি বাংলাদেশের ভেতরেই করা যায় তাহলে দেশের টাকা দেশেই থাকতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ডিপার্টমেন্টে সান্ধ্যকালীন কোর্স বিক্রি করার সুযোগ নেই ( যেমন ধরা যাক পালি বিভাগ) এরা সরাসরি পয়সা দিয়ে ডক্টরেট বিক্রি করতে পারেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ব্র্যান্ড নেম, এতে করে ৩০ লাখ টাকা করে একেকটা ডক্টরেট কাগজ কেনার লোকের অভাব হবে না। বছরে একশ ডক্টরেট বিক্রি করলে ভার্সিটির ৩০ কোটি টাকা আয় হয়, সেটা দিয়ে হল তৈরি করা যায়, ছাত্রদের জন্য সুষম খাবারের সংস্থান করা যায়, গবেষনায় বাজেট দেয়া যায়।

বিষয়টা ভেবে দেখা দরকার।

অন্তত কেউ আমারে কলিমুল্লাহ স্যারের ফোন নাম্বারটা দেন, একটা ফোন করে দেখি।

স্যার ঢাকায় বসে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আইডিয়াটা পছন্দ করবেন, আমি একদম শিওর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়