তরিকুল ইসলাম:[২] আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গরিব মানুষরা খেতে পারছে না বলেই ভারতে অনুপ্রবেশ করছে।’
[৩] যারা অনুপ্রবেশকারী, তারা যে শুধু বাংলাতেই থাকছে, তা নয়। তারা তো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। জম্মু-কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।
[৪] বাংলাদেশের উন্নয়ন সীমান্ত এলাকায় নিচুতলায় পৌঁছায়নি। যে কোনও পিছিয়ে পড়া দেশে উন্নয়ন হতে শুরু করলে সেটা প্রথম কেন্দ্রে হয়। আর তার সুফল প্রথমে বড়লোকদের কাছে পৌঁছায়। গরিবদের কাছে নয়। এখন বাংলাদেশে সেই প্রক্রিয়া চলছে। ফলে গরিব মানুষ এখনও খেতে পাচ্ছে না। সে কারণেই অনুপ্রবেশ চলছে।
[৫] বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নজরে আনলে ভারতীয় মন্ত্রীর বক্তব্যে প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ভারতীয় মন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য সঠিক নয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্র সম্পর্কে যে ধারণা থাকতে হয় সেটিও তার নেই। এটি অগ্রহণযোগ্য ও অপরিপক্ক বক্তব্যে।
[৬] আমাদের দেশের লোকেরা খোলা টয়লেটে যায় না, এখনতো আরও উন্নত মানের টয়লেটে যায়। আর কত ভারতীয় খোলা টয়লেটে যায় সেই পরিসংখ্যান আমরা জানি, সেটা উল্লেখ করতে চাইনা।
[৭] বাংলাদেশ জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) থেকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার সুপারিশ পেয়েছে।
[৮] প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিভিন্ন কারণে একটা সময় আমাদের এখানের লোক জনের দারিদ্রতা ছিলো, সেটি তো এখন আর নেই।
[৯] ড. মোমেন বলেন, পন্ডিতেরা বিভিন্ন সময়ে নানান কিছু বলেন, তাই বলে কি তাদের সব কিছুই সঠিক? একটা সময় সেগুলো ভুল প্রমাণ হয়। অতিতে আমরা সেটাই দেখেছি।