শিরোনাম
◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪৪ সকাল
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এসপির বাসভবনে নিরাপদ ৩০ ঘুঘুর বাসা

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রচণ্ড গরম পড়েছে। অথচ এসি চালাতে পারছেন না সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান। বাংলানিউজ২৪

কারণ এসব জায়গায় ৩০টি বাসা গড়েছে ঘুঘু পাখি। ওই পাখিগুলো যাতে স্বস্তিতে ডিম পাড়তে পারে এজন্য বাসভবন ও এর প্রাঙ্গণজুড়ে কড়া সতর্ক পাহারাও বসিয়েছেন এসপি সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান।

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে অফিসার্স কলোনিতে প্রায় দুই একর জমির ওপর বিশাল বাসভবন পুলিশ সুপারের। এর দক্ষিণে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব। আর পূর্বপাশে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের (ডিএস) বাসভবন। মাঝে দিয়ে গেছে বিমানবন্দর সড়ক। ওই বাসভবনে স্ত্রী-সন্তানসহ পুলিশ সুপারের বসবাস। ভবনের পুরো প্রাঙ্গণজুড়ে মনোরম বাগান। সেখানে রয়েছে বেশকিছু লিচু ও বাহারি ফুলের গাছ। ভবনের সামনে গোলঘর, গেট, লিচু বাগান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সবখানে বাসা বেঁধেছে ঘুঘু পাখি। ঘুঘু পাখির ডিম।

সোমবার (১২ এপ্রিল) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান সন্তর্পনে বাগান পরিচর্যা করছেন। এসময় কথা হলো তার সঙ্গে।

তিনি বলেন, ভবনের ৩০টি স্থানে বাসা বেঁধেছে ঘুঘু পাখি। এর কারণে প্রচণ্ড গরম থাকা সত্ত্বেও এসি ছাড়তে পাচ্ছি না। পাখিগুলো যাতে নিরাপদে ডিম পাড়তে পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, অভিযোগ নিয়ে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে গোলঘরে বসা হচ্ছে না। কেউ উচ্চসরে কথা বলছে না। লিচু বাগানে ফল এসেছে। এসময় কীটনাশকও স্প্রে করতে হয় কিন্তু, আমি আমার লোকদের তাও মানা করেছি।

পাখিপ্রেমী পুলিশ সুপার হেসে হেসে বললেন, ছেলেবেলায় এয়ারগান দিয়ে কত পাখি মেরেছি। অথচ এখন দেখুন পাখিদের জন্য খুব মায়া হচ্ছে। ওদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পরিবারসহ কষ্ট করছি। সিদ্দিকি তাঞ্জিলুর রহমান বলেন, ঘুঘু পাখির চরম শত্রু হচ্ছে তালুয়া পাখি। ওই পাখিগুলো যাতে ঘুঘুর ডিম খেয়ে না ফেলে এজন্য বাসভবনে পুলিশ পাহারা বসিয়েছি। পালাক্রমে বিরামহীন খোঁজ রাখছেন তারা। আমি নিজেও এনিয়ে তদারকি করছি। প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছি তাতে কি! আমার বাসভবন এখন ঘুঘু পাখির অভায়রণ্য। এটা কি আনন্দের নয়?

এ নিয়ে কথা হয় পাখি ও পরিবেশবাদী সংগঠন সেতুবন্ধনের সভাপতি আলমগীরের সঙ্গে।

তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। আমরা সার্বিকভাবে এসপি মহোদয়কে এ নিয়ে সহযোগিতা করবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়