মিজান আই. মান্নান: মামুনুল সুস্পষ্ট ফাসেক,(পাপীষ্ঠ)। মিথ্যাবাদী, ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ, ভুল ব্যাখ্যাকারী গোমরাহ(বিপথগামী; পথভ্রষ্ট;) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন - ‘আমার উম্মতের মধ্যে যারা উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী তারাই সৃষ্টির নিকৃষ্টেরও নিকৃষ্ট।’ মূলত তারাই হলো উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী অর্থাৎ নাহক্ব আলিম। হাদীছ শরীফ ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘আমার উম্মতের মধ্যে যারা উলামায়ে ‘সূ’ তাদের জন্য আফ্সুস অর্থাৎ তারা জাহান্নামী। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ যাকে হেদায়াত দেন তাকে কেউ গোমরাহ করতে পারে না। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করে তাকে কেউ পথ দেখাতে পারে না।’ (মুসনাদে আহমাদ : ১৪৫৬৬)।
ধর্মব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যায়িত মামুনুল হেফাজত নেতার নৈতিক অবনমনের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। এ উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ এবং মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে টার্গেট করেই তারা তাদের পুরোনো পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়। তারা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। সোনারগাঁওয়ের তার একটি রিসোর্টে অনৈতিক ঘটনার পর তাদের ফোনালাপসহ অন্যান্য বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এবং একজন সুন্দরী মহিলাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেওয়া এখন আর গোপন নয়।’সোনারগাঁয়ের রিসোর্টে গিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করা তার স্ত্রী নয়। রিসোর্টে অনৈতিক সম্পর্কের নারী তার বৈধ স্ত্রী নন। তিনি তার গার্লফ্রেন্ড বা বান্ধবী। শরীয়ত অনুযায়ী নাজায়েজ সম্পর্ক, তার সাথে একান্তে সময় কাটানো ব্যভিচার বা জিনা। জিনা বা ব্যভিচার ইসলামসহ পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থে ঘৃণিত ও জঘন্য অপরাধ। ব্যভিচার সমাজকে কুলষিত করে। ব্যভিচারের কারণে আল্লাহর লানৎ অবর্তীণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হইও না।
এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ৩২), এখানে ব্যভিচারের শাস্তির দুটি হাদিস তুলে ধরা হলো- আল্লাহ বলেন, ‘ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়কে একশ’ ঘা করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকরী করবে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের অভিভূত না করে। যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাক। ঈমানদারদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’ (সুরা নুর : আয়াত ২)। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। তা একটি অশ্লীল কাজ। ইসলামে বৈধ বিবাহবহির্ভূত সকল প্রকার শারীরিক সম্পর্ককে জিনা বা ব্যভিচার বলা হয়েছে।
হাদিস- বিবাহিত হলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড (রজম)।’ (মুয়াত্তা)। তার এসব অনৈতিক ঘটনার সমর্থনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের যে তাণ্ডব লীলা চলছে, তাতে এ উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেন, ‘যদি তোমরা আমার নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর, তবে আমি তোমাদের নেয়ামত বাড়িয়ে দেব। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে আমার শাস্তি বড় কঠিন। ( সূরা ইবরাহিম : ৭)। হেদায়াত তথা ইমান সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছাধীন। সমাজে অনেকেই মনে করেন, আল্লাহ পথভ্রষ্ট করার কারণেই সে সৎ পথে চলতে পারছে না। আল্লাহ চাইছে না বিধায় সে ভালো কাজ, নামাজ-রোজা, দান-সদকা করতে পারছে না। যারা এমনটি মনে করেন, নিঃসন্দেহে তারা স্পষ্ট ভ্রান্তির মধ্যে আছেন। ভ্রান্তি, একটি মিথ্যাচার তর্ক করার ক্ষেত্রে একটি ত্রুটি যা যুক্তিটিকে অবৈধ করে তোলে এবং তর্কটির মধ্যে নিজেই একটি ত্রুটিযুক্তি। ফেসবুক থেকে, মামুন
আপনার মতামত লিখুন :