এম আর জামান রাসেল: মামুনুলের পক্ষে ফেসবুক পোস্ট দেওয়ায় অনেক আওয়ামী পোস্টধারী নেতার চাকরি চলে গেছে। মামুনুলদের বিরুদ্ধে যে আওয়ামী কর্মী/নেতারা রাতদিন প্রতিবাদ প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের চাকরি দেবেন তো? যদি না দেন, যদি অনলাইনে নিবেদিত আওয়ামী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করেন, যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের অবদানকে অস্বীকার করেন, যদি অনলাইন রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা না করেন তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ‘অনলাইন’ হাত ছাড়া হয়ে যাবে। রাজপথের রাজনীতি যারা করে তাদের স্যালুট করি, সম্মান জানাই। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে লক্ষ্য করে দেখুন রাজপথের চাইতে অনলাইন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরাই সবচে বেশি প্রতিবাদ প্রতিরোধ করছে। সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোতে লক্ষ্য করুন, রাজপথের রাজনীতি যারা করে তারা কতোটা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
সে তুলনায় অনলাইনের কর্মীদের ভূমিকা ছিলো চোখে পড়ার মতো। ভবিষ্যতের রাজনীতিও অনলাইন নির্ভর হয়ে উঠবে। তখন অনলাইনের রাজনীতিতে নিজেদের দখল নিতে দক্ষ আওয়ামী অ্যাক্টিভিস্টদের প্রয়োজন হবে। আশার কথা হলো, দলীয় হাইকমান্ড ইতোমধ্যেই এর কিছুটা গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছেন বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। বিগত দিনে যারা অনলাইনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন তাদের রাজনীতিতে জায়গা করে দিন। সাইবার ওয়ার্ল্ডের রাজনীতিতে তারাই হবে একেকজন লড়াকু ফাইটার। রাজপথের রাজনীতি একসময় হয়তোবা বন্ধ হয়ে যাবে, তখন কে কতোটা তুখোড় নেতা তার প্রমাণ হবে অনলাইনেই। সেদিনের জন্য নেতাকর্মী তৈরি না করলে আখেরে পস্তাতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :