লুৎফর রহমান হিমেল: সাংবাদিকরা তো পাগল হয়ে যাবে, এতো এতো বেশি নিউজের প্রোডাকশন। কোনটা রেখে কোনটা দেবে তারা। এক মামুনুল হক সাহেবই দৈনিক যে পরিমাণ নিউজ সাপ্লাই দিতেছেন, বলি হারি। তার খবর দিয়েই প্রতিদিন একটি দৈনিক বের করা যায়। আজকে কোন পেপারে যেন দেখলাম লিখেছে, এক ব্যক্তি দাবি করেছে, তার বোনকেও নাকি বিয়ে করেছেন মামুনুল হক। ওদিকে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব তো আছেনই। তিনি নিজের দলেরটা যতো বলতেছেন, তার চেয়ে বেশি বলতেছেন বিএনপির কথা। বিএনপির এটা করা উচিৎ, ওটা করা উচিৎ না, ইত্যাদি। মাঝেমধ্যে সাংবাদিকরা যদি ভুল করে তাকে বিএনপি নেতা উল্লেখ করে সংবাদ করে বসেন, তাতে তাদেরকে বেশি দোষ দেওয়া যাবে না। এদিকে আছে আবার মহামারি করোনা। দেশ-বিদেশের লাখো নিউজ।
দেশেও এখন করোনা রুদ্রমূর্তিতে। সাংবাদিকরা প্রতিদিনই শিরোনামে লিখতেছে করোনার রেকর্ড। প্রতিদিনই একই শব্দ সাংবাদিকতায় যায় না। আজকে আমাদের হাউজের সাব-এডিটরদের বললাম, করোনা প্রতিদিনই রেকর্ড গড়বে। কিন্তু বারবার ‘রেকর্ড’ লিখলে একঘেয়েমি আসবে। তাই পুরনো ‘রেকর্ড’ না বাজিয়ে নতুন শব্দ খোঁজো। না পেলে ফিগারটাই দাও। তাতে পাঠক কষ্টে থাকুক, একঘেয়েমিতে অন্তত ভুগবে না। একঘেয়েমি খুব খারাপ জিনিস। এই একঘেয়েমির জন্য মানুষ নিজে নিজে মরেও যায়। সাংবাদিক হয়ে পাঠকদেরকে ওই পথে ঠেলে দেওয়ার পাপ করা যাবে না। ১২ এপ্রিল, ২০২১। কলাবাগান। ফেসবুক থেকে, মামুন