স্পোর্টস ডেস্ক: [২] ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ। নিউ জিল্যান্ডেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে একই হতাশা। এই ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে শ্রীলঙ্কায় উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মুমিনুল হক ও তামিম ইকবালদের টিম লিডার হিসেবে গেছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। আক্রমণাত্মক ও ইতিবাচক ক্রিকেট খেললে জয় ধরা দেবে মনে করেন তিনি।
[৩] নিউ জিল্যান্ডে ভালো খেলতে পারেননি ক্রিকেটাররা, তাই বলে যে শ্রীলঙ্কাতেও তা হবে বিশ্বাস করেন না সুজন, যদিও আমরা শেষ টেস্ট ভালো করি নাই। আমরা জানি আমাদের সামর্থ্য আছে। যদিও আমরা নিউ জিল্যান্ডে ভালো খেলতে পারিনি, কিন্তু শ্রীলঙ্কায় আলাদা পরিবেশে খেলবো। আগেও খেলেছি, সেখানকার কন্ডিশনটা আমরা জানি। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে।
[৪] খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি ও ফিটনেস নিয়ে কোনও ধরনের সংশয় নেই সাবেক অধিনায়কের। দল হিসেবে সবাইকে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ার তাগিদ দিলেন তিনি, খেলোয়াড়রা অনেক ফিট। অনেক চেষ্টা করে তারা মাঠে গিয়ে। কিন্তু পারফরম্যান্সটা কেন হচ্ছে না সেটা একটা বড় ব্যাপার। প্রক্রিয়াগুলো কিন্তু খারাপ বলবো না আমি। দল হিসেবে খেলতে হবে আমাদের, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স অনেক দেখেছি আমরা। এখনই সময় আমরা বাংলাদেশ দল হিসেবে খেলতে চাই।
[৫] শুরু থেকে ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত অদম্য মানসিকতা ধরে রাখতে হবে দলকে। মনোযোগ সরে গেলেই বিপদ বলে সুজন সতর্ক করলেন, অবশ্যই আমরা চাই জিততে। আমরা ওখানে সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই। যে দল ভালো খেলবে তারাই জিতবে। পাঁচ দিনের খেলা, এ কারণে সেশন বাই সেশন ধরে এগোতে হবে। চট্টগ্রাম টেস্টে (উইন্ডিজের বিপক্ষে) আমরা চার দিন আধিপত্য করেও হেরে গেছি, এমনটা করতে চাই না। লম্বা সময় মনোযোগ ধরে রাখতে চাই।
[৬] দলে তামিম, মুশফিক থাকলেও অপেক্ষাকৃত তরুণ দল নিয়ে শ্রীলঙ্কায় গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সবার দায়িত্ব সমান। কদিন আগে বলা কথা আবার স্মরণ করিয়ে দিলেন সুজন, আমি তরুণ বলি না, আমার কাছে সবাই সমান। যদিও তামিম, মুশফিক মুমিনুলের অভিজ্ঞতা অনেক। তারপরও দায়িত্ব সবার সমান। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দিয়ে আপনি যখন নামবেন তখন দায়িত্বটা সবারই সমান। ভালো খেলার দায়িত্ব সবারই। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারে মিরাজ, তরুণ বয়সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে টেস্ট জিতিয়েছে সে। আমাদের সব ক্রিকেটারের মধ্যেই এই সামর্থ্য আছে।
[৭] ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার তাগাদা দিলেন। সঙ্গে দৃঢ় মানসিকতা থাকতেই হবে বললেন সুজন, ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে। আমি সবসময় ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার কথা বলি, মানসিকতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে মানসিকতা আমি দেখেছি দুই বছর আগে, সেরকমটা দেখতে চাই। মাঠে লড়াই করবে, ফল কী হবে পারে দেখা যাবে। কিন্তু মাঠে যেন আমরা লড়াই করতে পারি।
[৮] কলম্বোতে পৌঁছেই তিন দিনের রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে মুমিনুলদের। এ নিয়ে খুব একটা সমস্যা দেখছেন না টিম লিডার, এটা ওরা মেনে নিয়েছে। প্রথমদিকে হয়তো একটু কষ্ট হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় তো আমরা মাত্র তিন দিন থাকবো রুম কোয়ারেন্টাইনে। তারপর তো আমরা অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছি, নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা হবে। হোটেলের বাইরে না গেলেও এটা একদিক দিয়ে ভালো। ছেলেদের বিশ্রাম হবে। শারীরিক দিক থেকে ফিট থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :