রাশিদ রিয়াজ : আমিরাতের মুবাদালা ফান্ড থেকে আরামকো’র শেয়ার কেনা হচ্ছে। এরফলে আরামকো অয়েল পাইপলাইনস কোম্পানির ৪৯ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ার পাবে আমিরাতের ওই ফান্ড। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন এই বিনিয়োগ চুক্তির মূল্য আরামকো অয়েল পাইপলাইনের জন্য প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারের মোট ইক্যুইটি মূল্যর সমান। বলে। ইআইজি গ্লোবাল এনার্জি পার্টনার্স এলএলসি;র বিনিয়োগরা আরামকো’র ১২.৪ বিলিয়ন ডলার কেনার ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এরাবিয়ান বিজনেস
সৌদি আরব বিদেশি বিনিয়োগের জন্যে যে উদাত্ত আহবান জানিয়ে যাচ্ছে এবং দেশটির অর্থনীতি তেল নির্ভরশীলতার বিকল্প উৎস খুঁজছে এই চুক্তিটি তারই অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আরামকো’র কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, নতুন করে আরামকো’র তেল অনুসন্ধান ও রিফাইনারি স্থাপনে এ বিনিয়োগ সহায়ক হবে। গত বছর আরামকো ৭৫ বিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ প্রদান করেছে যা সৌদি আরবের তালিকাভুক্ত যে কোম্পানির চেয়ে বেশি। বাজার মূলধনের পরিমানে আরামকো বিশে^র তৃতীয় বৃহত্তম কোম্পানি। এছাড়া অ্যাপল ইনক এবং মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনকে পিছনে ফেলে ২০১২ সালে প্রাথমিক পাবলিক অফারের পরে আরামকো বাজারের মূল্য অনুসারে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কোম্পানি হয়ে ওঠে। আরামকোর ২ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়ার পর মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছে ২৫.৬ বিলিয়ন ডলার। আরামকোর সিইও আমিন নাসের বলেন আমিরাতের কাছে শেয়ার বিক্রির বিষয়টি উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। কারণ শক্তিশালীয় মূলধনের যে ভিত্তি আরামকো’র রয়েছে তাতে এধরনের বিনিয়োগ আরামকোর বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আয় অর্জনে সহায়তা করবে।
এদিকে আইএমএফ বলছে মধ্যপ্রাচ্যে আগামী দুই বছরে অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে ৯১৯ বিলিয়ন ডলার। আগামী দুই বছরে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৪ শতাংশ, এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। এর আগে এ ধরনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যে প্রবৃদ্ধি হবে আগামী দুই বছরে ৩.১ শতাংশ। তেলের দাম হ্রাস ও কোভিড মহামারীতে পর্যটন শিল্পে ব্যাপক ধস নামায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতিতে এক বিরাট নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জিডিপির ১৫ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। আইএমএফ এও বলছে আগামী বছর মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে ৩.৭ শতাংশ হারে। তবে ওই অঞ্চলে কোভিড টিকা দান কর্মসূচি কতটা দ্রুত শেষ হবে তার ওপর নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতির গতিবিধি। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য সহ মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে আগামী দুই বছরে বিনিয়োগ এর আগের দুই বছরের চেয়ে ৩’শ বিলিয়ন ডলার বেশি লাগবে। এ বিনিয়োগের মোট পরিমান হচ্ছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার।