শিরোনাম
◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয় ◈ কত টাকার বিনিময়ে মানববন্ধনে এসেছেন তারা, এদের পরিচয় কী? আরো যা জানাগেল (ভিডিও) ◈ ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আবারো বিএসএফের ‘পুশ ইন’, ৬ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি ◈ বি‌সি‌বি ও বি‌সি‌সিআই সর্বসম্ম‌তিক্রমে সি‌রিজ স্থ‌গিত কর‌লো, আগ‌স্টে আস‌ছে না ভারত

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০২১, ০২:৩৬ রাত
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০২১, ০২:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

 অনলাইনে কেনাকাটার হিড়িক:ধুমছে চলছে ফুড ডেলিভারি, পোশাক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কেনাকাটা

ডেস্ক রিপোর্ট: লকডাউনে আবারও অনলাইন কেনাকাটায় হিড়িক পড়েছে। সামনেই বাংলা নববর্ষ আর তার এক মাস পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। ফ্যাশন হাউস থেকে শুরু করে অনলাইন শপগুলো এরই মধ্যে এ দুই উৎসব সামনে রেখে নতুন পণ্য নিয়ে এসেছে। কিন্তু দেশের করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে বেশির ভাগ ক্রেতাই শপিং মলে গিয়ে পণ্য কেনায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। এজন্য গতবারের মতো এবারও বৈশাখ ও ঈদের কেনাকাটার জন্য মানুষ ঝুঁকছে অনলাইনে। আবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাঁচাবাজারের বদলে ক্রেতারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও বাজারসদাই করতে বিভিন্ন বড় সুপার শপের অনলাইন ডেলিভারি সেবা নিচ্ছেন। আর হোটেল-রেস্টুরেন্টে সরাসরি সেবা বন্ধ থাকায় অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে খাবারের অর্ডার দিচ্ছেন রাজধানীবাসী। সব মিলিয়ে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ও পণ্য কিনতে ক্রেতার ভরসা এখন অনলাইন।

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার-ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে গতকাল শপিং মল ও দোকানপাট খুলে দেওয়া হলেও ক্রেতাসমাগম ছিল খুব কম। এ অবস্থায় দেশের বড় বড় পোশাক ব্র্যান্ড ক্রেতার স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে পণ্য অর্ডারের ব্যবস্থা রেখেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আড়ং, লা-রিভ ও সেইলরের মতো বড় ব্র্যান্ডগুলো সরাসরি পণ্য কেনার সুযোগ ছাড়াও ক্রেতাদের জন্য অনলাইনে পণ্য কেনার সুযোগ রেখেছে। ব্র্যান্ডগুলোর অনেকটিই অনলাইনে পণ্য কেনায় ফ্রি হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা রেখেছে। আর এ সুযোগে ক্রেতাদের অনেকেই ঘরে বসে পছন্দের পণ্যটি অর্ডার করছেন। মগবাজারের গৃহিণী সুহানা আফরিন বলেন, ‘গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরুর পর ঈদ-বৈশাখে পরিবারের সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে শপিং মলে যাইনি। ঘরে বসে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে নিজের ও পরিবারের সবার জন্য পছন্দের পোশাক অর্ডার দিই। এবারও বৈশাখ ও ঈদে ব্যবহারের জন্য অনলাইন থেকে পণ্য কিনছি। খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।’

শুধু পোশাক কেনাকাটাই নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও বাজারসদাই করতেও ক্রেতারা অনলাইনে ঝুঁকছেন। গত কয়েক দিনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কাঁচাবাজারের পরিবর্তে ক্রেতারা অনলাইন থেকে বাজার করতে স্বচ্ছন্দবোধ করছেন। বিশেষ করে কদিন বাদেই রমজান শুরু হতে যাচ্ছে এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের হোম ডেলিভারির জন্য ক্রেতারা ‘চালডাল ডটকম’, ‘স্বপ্ন’, ‘মীনাবাজার’সহ বিভিন্ন সুপার শপের ফেসবুক পেজ বা হটলাইনে পণ্য অর্ডার করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুপার শপ স্বপ্ন ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় তাদের দেওয়া জোনভিত্তিক নম্বরে ক্রেতার কল পাওয়া মাত্রই ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টার মধ্যে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে।

দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পরই ‘চালডাল ডটকম’ থেকে পণ্য কেনা শুরু করেন মিরপুরের শ্যাওড়াপাড়ার বাসিন্দা আবুল মোক্তাদির। এ ব্যবসায়ী বলেন, ‘শুরুতে পণ্যের মান নিয়ে কিছুটা সংশয় কাজ করলেও এখন তা হয় না। আমার দেখাদেখি অন্য বন্ধুরাও এখন অনলাইন থেকে বাজারসদাই করছেন।’ অনলাইনভিত্তিক পণ্য ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর লকডাউনের পর থেকে অনলাইনে পণ্য কেনার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এবার লকডাউনেও সে চাহিদা আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে তাদের কর্মী ও ডেলিভারি কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। একইভাবে খাবারের অ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ‘ফুডপান্ডা’, ‘পাঠাও’, ‘সহজ’-এ করোনাকালে খাদ্যরসিকরা প্রচুর অর্ডার দিচ্ছেন। সরকার করোনা সংক্রমণ রোধে হোটেল-রেস্টুরেন্টে বসে খাবার গ্রহণে বিধিনিষেধ দেওয়ায় অনলাইনে ফুড ডেলিভারির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফলে রাজধানীর পাড়া-মহল্লাগুলোয় এখন অহরহ ফুড ডেলিভারিম্যান চোখে পড়ছে। পল্লবীর পাঠাওয়ের ফুড ডেলিভারিম্যান রাজু জানান, আগের বারের মতো এবারও লকডাউন শুরুর পর থেকে অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর মহামারীর এক বছরে তার মতো অনেক যুবক কাজ হারিয়ে ফুড ডেলিভারিম্যানের কাজ নিয়েছেন। সূত্র:বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়