লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ [২] জেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর এবার শোকজ করা হলো জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর ও সম্পাদক ইয়াকুব আলীকে।
[৩] রোববার(১১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর শোকজের পত্র প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
[৪] এর আগে শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় এলাকায় এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
[৫] পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে সবুজের সাথে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে বিবাদ লাগে কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মীর।
[৬] এরই জের ধরে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী বৃহস্পতিবার(৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের ভাগ্নের সবুজের বাড়িতে গিয়ে গালমন্দ ও ঢিল ছুড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
[৭] এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করকে প্রধান করে বেশ কিছু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সবুজের পরিবার। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় ফুসে উঠে পুরো ছাত্রলীগ।
[৮] তারা সভাপতির বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করে শুক্রবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ছাত্রলীগ। এতে মামলা প্রত্যাহার না হলে সোমবার জেলায় হরতাল পালনের ঘোষনা দেন ছাত্রলীগ। যা শনিবার বিকেলে প্রত্যাহার করে ছাত্রলীগ।
[৯] এ দিকে শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মতিয়ার রহমানের ভাতিজা এরশাদ হোসেন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের একটি গ্রুপ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করে। মিছিলটি দলীয় কার্যালয় অতিক্রম করলে ছাত্রলীগ ধাওয়া দেয়। শুরু হয় দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। দুই গ্রুপের অস্ত্রের মহড়ায় আতংকিত হয়ে পড়ে পুরো শহর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
[১০] বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের নির্দেশে জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের হস্তক্ষেপে সমোঝোতার চেষ্টা করা হয় বলেও দলীয় নির্ভরযোগ্য একটি সুত্রে জানা গেছে।
[১১] এরই মধ্যে শনিবার(১০ এপ্রিল) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষীত শোকজ পত্র পৌছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর ও সম্পাদক ইয়াকুব আলীকে এ শোকজ পত্র পাঠানো হয়।
[১২] দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে তার উপযুক্ত কারন ও জবাব আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ডাকযোগে/ ই-মেইলে পাঠাতে নির্দেশ প্রদান করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
[১৩] জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর শোকজ পত্র প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শোকজের জবাব তৈরী করা হয়েছে। যথা সময়ে পৌছে দেয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :