শরীফ শাওন: [২] সংগঠনটির সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার জানান, কারখানার শ্রমিকরা এই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলেও তাদের জীবন ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সবসময় উপেক্ষা করা হয়েছে। এই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে দেশের সকল নাগরিকের প্রতি সমান আচরণ করতে হবে।
[৩] রোববার যৌথ বিবৃতিতে তারা সর্বাত্মক লকডাউনে কারখানা বন্ধ রাখা এবং শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধ করার মধ্য দিয়ে তাদের ঘরে থাকা এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
[৪] বিবৃতিতে আরও বলেন, গত বছর সাধারণ ছুটির সময়ে শ্রমিকদের বেতন কাটা হয়েছে, বোনাস থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মানুষ যখন স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে বাড়িতে অবস্থান করেছে, তখন শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। সেসময় শত শত মাইল পায়ে হাটিয়ে কাজে যোগদানে বাধ্য করা হয়েছে।
[৫] এছাড়াও মহামারি পরিস্থিতির সুযোগে কয়েক লাখ শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চাকুরিচ্যুত শ্রমিকরা প্রাপ্য আইনানুগ পাওনা বঞ্চিত হয়েছে। মালিক এবং সরকারের অন্যায় আচরণে শ্রমিকরা রাস্তায় আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, এবারও একই পরিস্থিতি হলে শ্রমিকরা নিশ্চুপ থাকবে না যার পরিণতির দায় সরকার ও মালিকপক্ষকে নিতে হবে।