রাশিদুল ইসলাম : [২] মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া জাতিগত সশস্ত্র বাহিনীগুলোর একটি জোটের হামলায় ১০ পুলিশ নিহত হয়েছে। শান রাজ্যের নউংমনে একটি থানায় শনিবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। রয়টার্স
[৩] জান্তাবিরোধী এ বাহিনীতে আরাকান আর্মি, তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি। সংবাদমাধ্যম শোয়ে ফি মেয়ায় বলছে, নিহতের সংখ্যা ১৪।
[৪] ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা রিচার্ড হোর্সে বলেছেন, সামরিক শাসনে দেশটি শাসনের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
[৫] এদিকে শুক্রবার মিয়ানমারের বাগো শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর ক্র্যাকডাউনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ জনে।
[৬] এধরনের নির্বিচারে গুলির ভয়ে বাগো শহর থেকে বহু বাসিন্দা আশেপাশের গ্রামে পালিয়ে গেছে। দ্য মিয়ানমার নাউ বিক্ষোভের আয়োজন ইয়ে হুটুটকে উদ্ধৃত করে বলছে, ‘এটা গণহত্যার মতই। তারা প্রতিটি ছায়ার দিকে গুলি ছুড়েছে।’
[৭] শুক্রবার উৎখাত হওয়া সংসদ সদস্যরা এবং জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো এবং অস্ত্র অবরোধ বা আর্মস এমবার্গো ও নো-ফ্লাই জোন করার দাবি জানান। তারা বলেন মিয়ানমার, ‘রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে।
[৮] অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের হিসাবে, গত পহেলা ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর এ পর্যন্ত ৬ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।