শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৫১ সকাল
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফজলুল বারী: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দেশের মসজিদ-মাদ্রাসাভিত্তিক সমাজের কোনো ভূমিকা অথবা অবদান নেই

ফজলুল বারী: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দেশের মসজিদ-মাদ্রাসা ভিত্তিক সমাজের কোনো ভূমিকা অথবা অবদান নেই। যে করেই হোক তারা মনে করেছিলেন পাকিস্তান থাকলে দেশে ইসলাম থাকবে আর বাংলাদেশ হলে দেশের সব লোক হিন্দু হয়ে যাবে। এরজন্য মুক্তিযুদ্ধে বড় ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়। তাদের বাড়ি-ঘর সম্পদ ধংস লুটপাট হয়নি এমন দৃষ্টান্ত খুব কম। এমন একটি সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এখন যারা কথায় কথায় দেশের সব মানুষকে ধমকান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের আব্বু চাচ্চুরা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

আমাদের শান্তিপ্রিয় সমাজ তখন ধর্মীয় অনেক নেতাকে গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা করেন। অনেকে তখন গ্রেফতার হন। অবস্থাপন্নরা পাকিস্তান বা বিলাতে পালিয়ে যান। পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর থেকে তারা আবার স্বরূপে ফিরে আসে। স্বাধীনতার পর ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ছিলো। জিয়া আইনটি বাতিল করে তাদের রাজনীতিতে ফিরে আসার সুযোগ করে দেন। কিন্তু দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এই পাকিস্তানপন্থীরা আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গায় না। এমন ঘটনা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।

বাংলাদেশের দুর্বল রাজনীতিকরা আজ পর্যন্ত তাদের জাতীয় সংগীত গাওয়াতে পারেনি। সুপ্রিমকোর্ট প্রায় অনেক বড় বড় কথা বলে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের সুয়োমোটো করেনি কোনো দিন। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি মানেই একটি প্রতারণার মাধ্যম। কারণ পৃথিবীজুড়ে বাজার অর্থনীতি। অর্থাৎ সর্বত্র সুদভিত্তিক সমাজ। যা ইসলামে নিষিদ্ধ। তা চলে বাংলাদেশেও। মতলবী মৌলবীরা রিফ্রেশমেন্টের উদ্দেশে রিসোর্টেও যান। কিন্তু সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি বর্জন করে চলার কোনো নীতি তাদের নেই। সৌদি আরবসহ কোনো দেশই এই অর্থনীতির বাইরে নয়। সেসব দেশে যেহেতু গণতন্ত্র নেই তা নিয়ে নাগরিকদের প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। মানুষের অতো আজাইরা সময়ও নেই।

সর্বশেষ মৌলবাদী তান্ডব দেশের বড় উপকার করেছে। মানুষ এখন বলতে শুরু করেছে এই পাণ্ডাদের শক্তির উৎস কোথায়। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেনো নিচ্ছে না। বিএনপিও বলতে বাধ্য হয়েছে তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কথা বলেছেন। আইজিপি কথা বলেছেন। অতএব তাণ্ডবের মাধ্যমে যারা জনগনের সম্পদ ধংস করেছে তাদের আইনের আওতায় আনার এখনই সময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদে বক্তব্যের সময়কার শারীরিক ভাষা দেখে মনে হয়েছে তিনি তাদের ছাড়বেন না। দেখা যাক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়