শিরোনাম
◈ সমমনাদের অসন্তোষ বাড়ছে, আসন বণ্টনে বিএনপি-র কঠিন সমীকরণ ◈ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থাকলেও বাড়ছে দারিদ্র্য—সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা ◈ ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: ১২ গ্রুপে ৪৮ দল, একনজরে দেখুন কে কার প্রতিপক্ষ ◈ অবশেষে ‘শান্তি’ পুরস্কার পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কপি সম্পন্ন, বন্ধ হয়েছে পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ ◈ নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব ◈ লা‌তিন - বাংলা সুপার কা‌পে ব্রাজিলের কাছে পরা‌জিত বাংলাদেশ ◈ ব্রিটেনে অবৈধ ডেলিভারি ড্রাইভার অভিযানে ৬০ জনকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশিও রয়েছেন আটক তালিকায় ◈ শেখ হাসিনার দুঃশাসনে খালেদা জিয়ার ওপর নেমেছিল নিপীড়নের ঝড়: তারেক রহমান ◈ মনোনয়ন পেলেন বিএনপির ১১ নারী প্রার্থী, কে কোন আসনে?

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৪৬ সকাল
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুলক ঘটক: মানুষকে মানবতা থেকে বিচ্যুত করার ভয়াবহ সংস্কৃতি সৃষ্টিতে মূল অবদান রেখেছে হেফাজতে ইসলাম

পুলক ঘটক: জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলের ভিডিওটি ফেসবুকে আসার অল্প সময়ের মধ্যেই কেউ একজন আমাকে ইনবক্সে দিয়েছে। ভিডিওটি আমি দেখেছি, কিন্তু ফেসবুকে শেয়ার দিতে পারিনি। খুব কষ্টকর মনে হয়েছে। আমাদের এই সমাজে মায়ের কথা এভাবে বলা কত কষ্টের হতে পারে তা যেকোনো হৃদয়বান বিবেকবান মানুষ অনুভব করবে। অথচ আলেম শিরোমণি মামনুল হককে যারা তাদের ‘রুহানি বাবা’ মানে, সেই হেফাজত কর্মীদের হৃদয়বোধ ও বিবেকবোধ বিচলিত হয়েছে বলে মনে হয়নি। তারা তাদের রুহানি বাবার সমর্থনে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে। মিথ্যার উপর আঁকড়ে থেকেই বহু মানুষ সত্যকে অস্বীকার করে চলেছে। কোন রাজনৈতিক শিক্ষার দ্বারা কতোটা ব্রেনওয়াশ করা হলে এটা সম্ভব।

এমনকি হেফাজতে ইসলামের প্রবীণ হুজুররা বোর্ড বসিয়ে মামনুল হকের বিয়েকে বৈধ ঘোষণা দিয়েছে- যে বিয়ে আদৌ হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। মামুনুল হক নিজেই জান্নাত আরা ঝর্ণাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। তিনি হোটেলের রেজিস্ট্রারে নাম লিখেছেন নিজের আসল স্ত্রীর, জনগণ যখন ধরেছে তখন মিডিয়ার সামনে মেয়েটির নাম বলেছেন আমিনা তাইয়েবা (আসল স্ত্রীর নাম)। জনগণকে তিনি বলেছেন ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’, অথচ টেলিফোনে নিজের স্ত্রীকে বলেছেন, ‘শহীদ ভাইয়ের বউ...’

তুমি যেন মাঝখান থেকে কিছু আবার মনে কইরোনা।’ তিনি মেয়েটিকে বিবাহিত স্ত্রী বলে দাবি তাকে নিজের বাড়িতে তোলেন নি; তাকে দেননি স্ত্রীর সম্মান। কবে, কোথায়, কীভাবে বিয়ে হলো তার কোনো প্রমাণ না থাকলেও হেফাজতে ইসলাম ঘোষণা দিয়েছে ‘বৈধ বিয়ে’। সংগঠনটি দেশের আইন, ইসলাম, কোরআন বা সুন্নাহ অবজ্ঞা করে, শুধু রাজনৈতিক মতলবকে হেফাজত করতে চাচ্ছে। মানুষ তার বিশ্বাসের যায়গায় কত অসৎ হলে এরকম করতে পারে।

বলছিলাম জান্নাত আরা ঝর্ণার দুই ছেলের কথা। কত দুর্ভাগ্য, কী পরিমাণ বিড়ম্বনা তাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন মাওলানা মামুনুল হক। তাদের বাবা-মায়ের ঘর ভেঙেছেন, মাকে নিয়ে গোপনে ব্যবহার করেছেন, দেননি কোনো অধিকার। ওই ছেলের ভিডিওটি প্রকাশের পর হেফাজতে ইসলামের ভন্ডামো তাসের ঘরের মতো ঝরে পড়ার কথা। কিন্তু হয়েছে কী? বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের নিজস্ব এজেন্ডায় এখনো অবিচল আছে। মানুষকে একটি বিশ্বাস দিয়ে কিভাবে ডগমাটাইজ করা যায় এবং রাজনীতিতে ব্যবহার করা যায়, এ তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। শুধু ডগমাটাইজ নয় মানুষকে একদম অমানুষ এবং পশুর চেয়ে হিংস্র বানিয়ে ফেলা যায়- তালেবান, আল কায়দা এবং আইএস জঙ্গিদের বহু নৃশংসতায় তার প্রমাণ মেলে। অতদূর যেতে হবে কেন? মসজিদে একটি ঘোষণা দেওয়া হলো, আর সঙ্গে সঙ্গে হাজারো মানুষ সহিংস মূর্তি নিয়ে নেমে পড়ল। কোনো বিচার বিবেচনা নেই-ধর, মার, কাটো, শেষ করে দাও। ধর্ম রক্ষার নামে মানুষকে পিটিয়ে এবং পুড়িয়ে মারার ঘটনা ২০ বছর আগে মানুষ ঘটাতো না। এ হলো হেফাজতি শিক্ষার অবদান।

মানুষ অতীতেও ধর্মাচরণ করত, কিন্তু যেখানে সেখানে মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং বাড়িঘরে হামলা, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা হরহামেশা দেখা যায়নি। মানুষকে মানবতা থেকে বিচ্যুত করার এই ভয়াবহ সংস্কৃতি সৃষ্টিতে মূল অবদান রেখেছে হেফাজতে ইসলাম। এই সংগঠন ছেলেশিশু ধর্ষকদের হেফাজত করার সংগঠন, মামুনুল হকদের হেফাজত করার সংগঠন, মানুষকে হত্যা করার ফতোয়া দেওয়া সংগঠন। এটি জঙ্গি সন্ত্রাসী সংগঠন। একে দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী সংঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে আইনানুগ অ্যাকশনে যাও। মানুষকে রক্ষা কর, মানব চরিত্র রক্ষা কর। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়