ইমরুল শাহেদ: [২] একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বাসস
[৩] রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর মৃত্যু হয়। সেখানে তিনি আইসিইউতে ছিলেন।
[৪] গত বৃহস্পতিবার শারীরিক অসুস্থতা অনুভূত হলে শুরুতে ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে ঢাকার মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করানো হয় এবং ফলাফল পজিটিভ হয়। এ ছাড়া বুকের সিটিস্ক্যান রিপোর্টে তার ফুসফুসে ৮৫ শতাংশ ইনফেকশন ধরা পড়ে।
[৫] উইকিপিডয়ার তথ্যানুসারে, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী গান গাওয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকগান সংগ্রহ করতেন। তিনি এক হাজারেরও বেশি কবির লেখা কয়েক লাখ গান সংগ্রহ করেছেন। সরকারি সংগীত কলেজে লোকসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেব দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি।
[৬] ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর স্ত্রী দীপ্তি রাজবংশী ও পুত্র রবীন রাজবংশীও লোকগানের শিল্পী। তার পাঁচ পুরুষই সঙ্গীতের সঙ্গে জড়িত।
[৭] ইন্দ্রমোহন রাজবংশী সংগীত কলেজে লোকসঙ্গীত বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। বাংলাদেশ লোকসংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ইন্দ্রমোহন রাজবংশী চলচ্চিত্র, বেতার, টেলিভিশন ইত্যাদিতে অনেক গান গেয়েছেন।
[৮] ১৯৫৭ সালে ছোটদের আসরে গান গাইতে শুরু করেন তিনি। ১৯৬৭ সালে চেনা অচেনা চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করেন।
[৯] ইন্দ্রমোহন রাজবংশী ছিলেন লোকগানের শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, জারি, সারি, মুর্শিদি ইত্যাদি গান গেয়ে থাকেন। পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান গেয়ে নিজেকে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ২০১৮ সালে সংগীত বিভাগে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :