আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] একজন রাজনৈতিক ঝুঁকি বিশেষজ্ঞের মতে, জান্তাপ্রীতি এশিয়ান জায়ান্টটির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার স্বার্থ পুরো ধসিয়ে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো মিয়ানমারে বড় ধরণের অবরোধ আরোপ করেছে। এরও খেসারত দিতে হবে চীনা কোম্পানিগুলোকে। অবশ্য বেইজিং অবরোধের ধার না ধেরে গুরুত্ব দিচ্ছে স্থিতিশীলতার উপরেই। সিএনবিসি
[৩] ব্রিটিশ থিংক ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউজের এশিয়া প্যাসেফিক বিষয়ক সিনিয়র ফেলো গ্যারেথ প্রিন্স বলেন, ‘চীন হয়তো নেপিইদোর ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের পাশে থাকতে পেরে খুশি। তবে নিশ্চিতভাবেই এই অভ্যুত্থান তাদের স্বার্থে আঘাত হানতে যাচ্ছে।’
[৪] ক্ষমতাদখলকারীদের পাশে চীন নিরঙ্কুশভাবে থাকায় মোটেও খুশি নয় দেশটির সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, চীন জনতার সঙ্গে বেইমানী করেছে। চীনা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ এখন নিয়মিতো ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইয়াঙ্গুনসহ বড় শহরগেিলাতে রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে হচ্ছে পণ্য বয়কট।
[৫] চীন মিয়ানমারের প্রধান বিনিয়োগকারী। এছাড়াও শি জিন পিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের গুরুত্বপূর্ণ অংশও মিয়ানমার। এছাড়াও চীন গোয়াদারের মতো সিথওয়ে বন্দরকে ঘিরেও গড়ে তুলতে চায় একটি অর্থনৈতিক বলয়।