ইমরুল শাহেদ: এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হতেই চলচ্চিত্র ও মিডিয়ার সব কিছু ঝিমিয়ে না পড়লেও কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত। সিনেমা হলগুলো এখনো বন্ধ হয়নি। হল মালিকদের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা সিনেমা হল বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অর্থাৎ সোমবার দুপুর পর্যন্ত পাননি। তবে সরকারি প্রজ্ঞাপনে সন্ধ্যার পর যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়া এখন চলচ্চিত্রের শুটিং বলতে শাপলা মিডিয়ার কিছু ছবি ছাড়া আর দু’একটি ছবির মাঝেমধ্যে শুটিং হচ্ছিল। দু’দিন আগে এফডিসিতে ‘মুখোশ’ নামের একটি ছবির এক শিফট শুটিং হতে দেখা গেছে। শাপলা মিডিয়ার ছবিগুলোর কাজ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। লকডাউন প্রত্যাহার হওয়ার পর আবার শুরু হবে। তবে শুটিংয়ের ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। টেলিভিশন ডিরেক্টর্স গিল্ড বলেছে, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করা যাবে। তারা নিজেরাই রাতের বেলা কাজ করবেন না। এভাবেই অনেক প্রতিষ্ঠানই নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
একজন নির্মাতা বলেছেন, ‘প্রত্যেকেরই উচিত মহামারীর প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করা। মাত্র একটি সপ্তাহের ব্যাপার। কেউ কারো জন্য বিপজ্জনক না হওয়াই ভালো।’ বিনোদন জগতের বিভিন্ন শাখা খোলা আছে দর্শকের জন্য। ইউটিউব, অ্যাপসসহ বিনোদনের ক্ষেত্র অবারিত। দর্শক এ কারণে বিনোদন উপভোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। উদ্বিগ্ন শুধু বিনিয়োগকারীরা।
বিশেষ করে বিনিয়োগকারীরা কখনো অনিশ্চিত থাকতে চান না। তারা চান, তাদের বিনিয়োগ লাভসহ উঠে আসুক। একজন প্রযোজক বলেন, ‘ছবির কাজ ধারদেনা করে শেষ করেছি। কখন কিভাবে মুক্তি দিলে বিনিয়োগকৃত অর্থ উঠে আসবে এবং বিকল্প কোন কোন পথে গেলে আমার অন্তত লগ্নীর টাকাটা ফেরত পাব বুঝতে পারছি না।’ এটা প্রায় প্রত্যেক প্রযোজকেরই মনের কথা। লকডাউন ছাড়াই তাদের মধ্যে এই ভাবনা সব সময়ের।