আখিরুজ্জামান সোহান: [২] শনিবার দেশটির গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল ভবনে আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ভবনটির সামনে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার নিহত হয়েছেন, হামলার পর ক্যাপিটল ভবন বন্ধ করে দিয়েছে ন্যাশনাল গার্ডস। বিবিসি
[৩] গত জানুয়ারির ৬ তারিখে ট্রাম্প সমর্থকদের তান্ডবের পর ক্যাপিটলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর আলোচনা, বিশ্লেষণ আর গবেষণা হয়েছে। পরিবর্তন করা হয়েছে ক্যাপিটল পুলিশ বাহিনীর প্রধানকেও। তারপরও কীভাবে আবারও হামলার ঘটনা ঘটল? এমনকি হতাহত হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তাও! ওয়াশিংটন পোস্ট
[৪] শনিবার এক ফেডারেল সূত্রের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল ভবনে হামলাকারীর পরিচয় জানা গেছে। বলা হয়েছে, তার নাম নোয়া গ্রিন, বয়স ২৫। সিএনএন
[৫] প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিনের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায় তিনি চাকরি হারিয়েছেন এবং অসুস্থতায় ভুগছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি পোস্ট করে বলেন, ফেডারেল সরকার তাকে "মাইন্ড কন্ট্রোল" দিয়ে টার্গেট করছে। হামলার দু'ঘণ্টারও কম সময় আগে গ্রিন বেশ কয়েকটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি পোস্ট করেছিলেন। এর মধ্যে কয়েকটি ভিডিও লিংকও রয়েছে।
[৬] হামলার ঘটনা শোনার পর দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমি আর জিল খুবই মর্মাহত। এটা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ঘটনা। ক্যাপিটলে হামলায় একজন দক্ষ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
[৭] এর আগে, শুক্রবার (২ এপ্রিল) নীল রঙের একটি গাড়ি নিয়ে কংগ্রেস ভবনের উত্তর দিকের প্রবেশমুখের ব্যারিকেডে সজোরে ধাক্কা দেন হামলাকারী। এতে প্রবেশমুখে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। পরে ওই হামলাকারী ছুরি নিয়ে ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের ওপর হামলা করে।
[৮] এসময় আরেকজন নিরাপত্তাকর্মী তাকে বাধা দেয় এবং গুলি চালায়। পরে আহত অবস্থায় হামলাকারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পুলিশ সদস্য ও হামলাকারীর মৃত্যু হয়।