শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:৫৮ দুপুর
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বৃষ্টি না হওয়ায় রাজশাহীতে ঝরছে আমের কড়ালি

মঈন উদ্দীন:[২] কয়দিন আগেও মুকুলের ভারে নুইয়ে পড়ছিল ডাল। সেই মুকুলগুলো এখন রূপ নিচ্ছে কড়ালিতে। গাছে গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে আমের কড়ালি। কিন্তু মুকুল আসার আগে থেকে এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে বৃষ্টির দেখা নেই।

[৩] এতে ঝরে পড়তে শুরু করেছে কড়ালি।রাজশাহীর পথঘাট, আমবাগানগুলোর রূপও কয়েকদিনে বদলে গেছে অনেকটা। গাছে গাছে আমের গুটির দেখা মিললেও এখনই পরিচর্যার ইতি টানছেন না চাষিরা। গুটি টিকিয়ে রাখতে গাছের ওপরে এখনও স্প্রে করা হচ্ছে ছত্রাকনাশক। গাছের গোড়ার চারপাশে গর্ত করে সকালে-বিকালে দেয়া হচ্ছে পানি। বাগানে বাগানে চাষিদের এমন ব্যস্ততায় এখন চোখে পড়ছে।

[৪] এবার পরিচর্যায় একটু বাড়তি ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে চাষিদের। তাদের সঙ্গে কথা বলে এর কারণও জানা গেছে। তারা জানিয়েছেন, এবার গাছে মুকুল আসার সময় আবহাওয়া ছিল খুবই ভাল। তাই গাছে গাছে প্রচুর মুকুল আসে। পবা উপজেলার বড়গাছি এলাকায় নিজের বাগানে স্প্রে করছিলেন চাষি ফরিদুল ইসলাম।

[৫] তিনি জানালেন, গাছে মুকুল আসার সময় একবার কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করেছেন। এখন গুটি ধরার সঙ্গে সঙ্গে আরেকবার এসব স্প্রে করছেন।

[৬] তিনি বলেন, এবার এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা নেই। গাছের গোড়ার মাটি শুষ্ক থাকলে গুটি ঝরে পড়ে। তাই নিয়মিত সেচ দিচ্ছেন। শহিদুল বলেন, গত বছর ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কারণে প্রচুর আম ঝরে পড়েছিল। তা না হলে গতবারও খুব ভাল লাভ হতো।

[৭] এবার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাড়তি পরিচর্যা করা হচ্ছে।রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, আমরা চাষিদের মুকুল আসার সময় এবং গুটি ধরার পর ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক স্প্রে করতে বলি। আর রাজশাহীর চাষিরা এ ব্যাপারে অনেক সচেতন। এখন গুটি আসার পরও তারা পরিচর্যায় কোন ঘাটতি রাখছেন না।

[৮] আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট পর্যন্ত ঘুরেছি, বাগানের অবস্থা খুব ভাল। গাছগুলোতে প্রচুর গুটি আছে। খরার কারণে কিছু গুটি ঝরবে। এজন্য সকালে আমগাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে। তাছাড়া প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া মিশিয়ে আমে স্প্রে করতে হবে।

[৯] এতে গুটি ঝরা কমবে।রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) উম্মে ছালমা জানান, রাজশাহীতে এবার ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৪৮৩ মেট্রিক টন। গাছে গাছে এবার গুটির অবস্থাও এখন পর্যন্ত ভাল। তারা আশা করছেন, আমের বাম্পার ফলন হবে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়