জোহরুল ইসলাম: [২] চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে নিরীহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে সোহেলের মিথ্যা মামলা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। শনিবার (০৩ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে নাচোল উপজেলার ২ নং ফতেপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজারে গ্রামবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় নিরীহ এলাকাবাসী গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে সোহেলের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন। তারা আরো বলেন, সোহেল নাচোল থানায় মিথ্যা মামলা করে গ্রামবাসীর সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি সহ আর্থিক ক্ষতি করছেন। সোহেল এলাকায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে এলাকাবাসীর দাবি হাতবেঁধে ১ লাখ টাকার চাঁদা দাবির মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
[৪] এদিকে সোহেল বলেন, আমার ভাইকে এলাকাবাসী মির্জাপুর বাজারে নিয়ে গিয়ে হাত বেধে ১ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করে। সেই কারণে আমার নিরাপত্তার জন্য থানায় মামলা দায়ের করি।
[৫] এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ফতেপুর ইউনিয়নের ৮নং ওযার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, শিক্ষক ইমরুল কায়েস, সমাজসেবক আবুল হোসেন,বঙ্গবন্ধু মিতালী সংঘের সভাপতি ফরহাদ হোসাইন সবুজ, মির্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল হাকিম, সহ সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষরা।
[৬] উল্লেখ্য যে, গত ২০১৬ সালে বিএমডিএ (বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) কর্তৃক নাচোল মির্জাপুরে একটি গভীর নলকূপ নির্মাণ করে। সে গভীর নলকূপ হতে ট্যাপের মাধ্যমে পশ্চিম মির্জাপুর এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে সেহেল সহ প্রায় ৯০ টি পরিবার সুপেয় খাবার পানি ব্যবহার করে আসতেছে। সোহেল বিগত ৩ বছর ধরে অত্র নলকূপের পানি অতিগোপনে চুরি করিয়া তাঁহার মাছ চাষের পুকুরে ব্যবহার করে। গ্রামবাসী সোহেল কে একাধিক ব্যবহার পানি অতিরিক্ত ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করে।
[৭] ঘটনার এক পর্যায়ে সোহেল গ্রামবাসীর কথা না শুনলে গ্রাম বাসী ৬ মাস পূর্বে নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিএমডিএ বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগ দেওয়ার পর ও সোহেল গত ২০দিন পূর্বে আবার ও রাতে গভীর নলকূপের ট্যাপ হতে পানি তাহার পুকুরে ব্যবহার করলে গ্রামবাসী তা দেখে ফেলে। পরের দিন বিএমডিএ কে অবহিত করে গ্রামবাসী সোহেলের পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
[৮] বিষটি সুরহার জন্য কয়েকদিন পরে মির্জাপুর কলেজে গ্রামবাসী সালিসে বসলে সোহেল সে সালিশে উপস্থিত না হয়ে গত ২৭ মার্চ রাতে আবারো পানির ট্যাপ হতে পানি ব্যবহার শুরু করলে গ্রামবাসী সকলে মিলিয়া আবারো সোহেলের পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করতে গেলে সোহেলের ভাই শাহীন গ্রামবাসী কে বাধা প্রদান করা চেষ্টা করলে গ্রামবাসী শাহীন কে ধরে মির্জাপুর বাজারে নিয়ে আসে। ঐ রাতে ঘটনাস্থলে নাচোল থানা পুলিশ হাজির হয়ে উভয় পক্ষ কে নিজ নিজ বাসা পাঠিয়ে দেয়। পরে সোহেল উক্ত ঘটনায় তাহার ভাই শাহীন কে অপহরণ ও মুক্তিপনের অভিযোগ এনে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে নাচোল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :