লিহান লিমা: [২] মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ করে দেশজুড়ে ইন্টারনেট ব্লক করে রেখেছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী। ভিন্নমত ও সমালোচনা দমন করতে অনলাইনের পোস্টগুলো চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে।রয়টার্স
[৩] কর্তৃপক্ষ নামকরা ১৮জন ব্যবসায়ী, সামাজিক মাধ্যম তারকা ও দুই জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই আইনে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়াত্ত টিভিতে এদের সবার ফেসবুক প্রোফাইলের স্ক্রিনশট দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
[৪] অভিনেত্রী পিয়াং পোয়ি থু বলেন, ‘আমি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ভীত নয়। জীবন থাকা পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ড ও সেনাশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাবো।’
[৫] শনিবার দেশটির অধিকার গোষ্ঠি ‘অ্যাসিস্টেন্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার (এএপিপি) জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত ও নেত্রী অং সান সু চিকে কারাবন্দী করার পর থেকে এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী ৫৫০জনকে হত্যা করেছে, এদের মধ্যে ৪৬জনই শিশু। গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৮শ।
[৬]তবে সেনাবাহিনীর ধর-পাকড় ও নিধনযজ্ঞের মুখেও মিয়ানমারের জনতা প্রতিদিন রাজপথে ও শহরজুড়ে জান্তা বিরোধী প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন। নিরাপত্তা বাহিনী হানা দেয়ার পূর্বেই খুব দ্রুত রাস্তায় নেমে ছোটখাট বিক্ষোভ দেখিয়ে সরে পড়ছেন তারা। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘গেরিলা র্যালি’। এছাড়া জনগণ রাতের বেলা মোমবাতি হতে জড়ো হচ্ছেন। প্রকাশ্য স্থানে ও রাজপথে নিহতদের স্মরণে রেখে যাচ্ছেন ফুল।
[৭] বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে মিয়ানমারের অন্যতম সশস্ত্র গোষ্ঠি কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ৬০ বছরের বিদ্রোহের ইতি টেনে সরকারের সঙ্গে ২০১২ সালে করা অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাচিন গোষ্ঠির সংঘর্ষে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২০জন। বিমান হামলার মুখে পড়ে বসতি ছাড়া হয়েছেন সীমান্তের ১২ হাজার বাসিন্দা।
আপনার মতামত লিখুন :