বিপ্লব পাল: নন্দীগ্রাম নিয়ে অসংখ্য গুজব ফেসবুক ফিড আর হোয়াটসাপে এসেছে। বিজেপির বক্তব্য শুভেন্দু দেখিয়ে দিয়েছে খেলা কাকে বলে। ১০৫টার বেশি বুথ দখল করে বেলা ১২টার মধ্যেই ৭০ শতাংশ ভোট করিয়ে দিয়েছে। যখন মমতা গিয়েছেন, তখন খেলা শেষ। মমতা নাকি ১০৫টা বুথে এজেন্টই দিতে পারেননি। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, শুভেন্দুর গুন্ডারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় কিছু বুথ দখল করেছিলো বটে। কিন্তু আবু তাহেরের বাহিনী এসে সেই বুথগুলো দ্রুত উদ্ধার করে। ফলে দিদিই জিতছেন। অর্থাৎ দুই ক্ষমতাসীন পার্টির মুখেই রাবণের ভাষা, যা ক্ষমতার মদমোহে দেখা যায়।
আমাদের পেশীশক্তি নন্দীগ্রামে, তাই আমরাই জিতবো। অন্যদিকে খবর সিপিএম বহুদিন বাদে সব বুথেই পোলিং এজেন্ট দিতে পেরেছে। মীনাক্ষী সব বুথেই অবাধে ঘুরেছেন। সিপিএম প্রচার করছে মীনাক্ষী মাটির মেয়ে, উচ্চশিক্ষিত, গরিব এবং নির্লোভ। তাই ক্ষমতালোভী মমতা শুভেন্দুর চেয়ে ভালো। সমস্যা হচ্ছে একটা ডিফাঙ্কট প্রোডাক্ট যা জনগণ ৩৪ বছর ব্যবহার করে দেখেছে রাজ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর তাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই ক্ষতিকর তার সেলসম্যান (সেলস উম্যান) খুব ভালো, খুব উচ্চশিক্ষিত, খুব নির্লোভ হলে কিছু যায় আসে কী? যাইহোক মীনাক্ষী ভোট টানলেই ভালো। সে যদি বামেদের ৪০ এর মধ্যে ১০ শতাংশ ভোটও টানতে পারে, তাহলেও মমতা ব্যানার্জি জিতবেন। মীনাক্ষীর যদি জামানত জব্দ হয়, তাহলে মমতা ব্যানার্জি হারবেন। কারণ হিন্দু ভোট বিজেপির দিকে পোলারাইজড হবে। মমতা ব্যানার্জি ভবিষ্যৎ অনেকটাই সিপিএমের ভালো পারফর্মের ওপর নির্ভরশীল। ২ মে দেখাযাবে কাদের গুজব ঠিক। ফেসবুক থেকে