শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি: প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট পেশ ◈ বিএনপি প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি মির্জা ফখরুলের ◈ প্রাথমিকে ১০ হাজার ২১৯ পদে শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর ◈ মনোনয়ন বঞ্চিতদের মূল্যায়ন করার আশ্বাস বিএনপির ◈ গণসংযোগের সময় চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ ◈ বিশ্বের প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধে যে ইতিহাস গড়ল মালদ্বীপ ◈ ব্যাটিং ব্যর্থতায় আফগা‌নিস্তা‌নের কা‌ছে ১০২ রা‌নে হে‌রে গে‌লো বাংলা‌দে‌শের যুবারা ◈ হন্ডুরাস‌কে ৭ গোলে হারা‌লো ব্রাজিল ◈ তিন দফা দাবিতে ৮ নভেম্বর আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ◈ দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছেই না: একদিনে ১০ জনের মৃত্যু, ১০৬৯ জন ভর্তি

প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:২৫ রাত
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহিউদ্দিন আহমদ: বই এবং বইমেলা

মহিউদ্দিন আহমদ, ফেসবুক থেকে: এবারের বইমেলা নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে। কেউ চান মেলা চলুক, কেউ চান মেলা বন্ধ হোক। সময়সূচি নিয়েও আছে নানান মত। করোনা সবকিছু গোলমাল করে দিয়েছে।

মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি। কিন্তু এর মূল স্টেকহোল্ডার হলো প্রকাশক এবং পাঠক। এর বাইরে যারা, তারা যান বেড়াতে। করোনাকালে বেড়ানো বন্ধ থাকা উচিত ছিল। শুধু পাঠকের প্রবেশাধিকার থাকলে মেলা প্রাংগন ফাঁকাই থাকত।

আগে দেখেছি, ভবঘুরেদের আটকাতে রেলস্টেশনে টিকিট ছাড়া ঢোকা যেত না। যারা যাত্রী নন, তাদের প্লাটফর্ম টিকিট কাটতে হতো। আমি বইমেলায় ঢোকার জন্য টিকিট চালুর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। একশো টাকার নিচে তো বই হয় না। একশো টাকা দামের টিকিট হলে ভবঘুরে বা বেড়ানোর লোক নিরুৎসাহিত হতো। বই কিনে পাঠক তার টিকিটের টাকা বইয়ের দামের সংগে সমন্বয় করে নিতে পারেন। পাঠক যতবার যাবেন, ততবার টিকিট কিনবেন। যারা বই কিনবেন না, তারা বইমেলায় যাবেন না। করোনাকালে 'প্রাণের মেলা'র দোহাই দিয়ে ভিড় বাড়াবেন না। আড্ডা দেওয়ার জন্য শহরে হাজারো জায়গা আছে। সেখানে যান। বইমেলা পাঠকের কাছে ছেড়ে দিন।

টিকিট বিক্রির ব্যাবস্থা ব্যাংকের মাধ্যমে করা যায়। মেলা শেষে প্রকাশক/ বিক্রেতা ব্যাংকে টিকিট জমা দিয়ে টাকা তুলে নিতে পারেন।

মেলা নিয়ে যাদের এলার্জি, তারা যাবেন না। যাদের ইচ্ছা, তারা টিকিট কেটে যাবেন।

এ দেশের মানুষ বই বেশি কেনেন না। বই কেনা বাজে খরচ মনে করেন। শার্ট, জুতা কিংবা শাড়ির দাম যত হাজার টাকাই হোক না কেন, বইয়ের দাম পাঁচ-ছশো হলেই মাথায় বাজ পড়ে। একজন আমাকে সারমন দিয়েছিলেন, লেখকের সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে না? বই লিখে রয়ালটি পেতে হবে কেন? লেখকের শ্রম, কাগজ-কালির দাম, প্রছদশিল্পীর সন্মানী, প্রকাশকের বিনিয়োগ সব আসমান থেকে আসবে! আর লেখক? বই লিখে আয়-রোজগার করা যেন মহাপাপ!

কেউ কেউ ইতিমধ্যে হিসাব করে ফেলেছেন, বই লিখে আমি নাকি কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছি! এরা অতি বুজুর্গ। এরা বই কেনে না, পড়ে না। প্রকাশনা নিয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই।

একটা জিনিস বুঝি না। আমার যে বইগুলোর দাম কম, এই ধরেন, মুদ্রিত মূল্য দুশো থেকে তিনশো, সেগুলোর বিক্রি কম। এটা আমার কাছে একটা রহস্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়