শিরোনাম
◈ ধ্বংস্তূপ থেকে আবার দেশকে টেনে তুলবে বিএনপি: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে: ইসি ◈ ভারত সফ‌রে মে‌সি ৮৯ কো‌টি টাকা পে‌লেও উদ্যোক্তা শতদ্রু দ‌ত্তের ২২ কোটি টাকা ফ্রিজ করলো তদন্তকারী অ‌ফিসাররা ◈ হাইকমিশনারকে হুমকি, নয়াদিল্লির প্রেস নোট প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ ◈ দেশের ৮ বিভাগে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠন, প্রজ্ঞাপন জারি ◈ এ কে খন্দকারের জানাজায় প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ ◈ বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে ‘হুমকি’ দেওয়া নিয়ে মুখ খুলল ভারত ◈ গণমাধ্যমে হামলা সরকারের দুর্বলতা, মবোক্রেসি বরদাশত নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধ.র্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:২৫ রাত
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহিউদ্দিন আহমদ: বই এবং বইমেলা

মহিউদ্দিন আহমদ, ফেসবুক থেকে: এবারের বইমেলা নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে। কেউ চান মেলা চলুক, কেউ চান মেলা বন্ধ হোক। সময়সূচি নিয়েও আছে নানান মত। করোনা সবকিছু গোলমাল করে দিয়েছে।

মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি। কিন্তু এর মূল স্টেকহোল্ডার হলো প্রকাশক এবং পাঠক। এর বাইরে যারা, তারা যান বেড়াতে। করোনাকালে বেড়ানো বন্ধ থাকা উচিত ছিল। শুধু পাঠকের প্রবেশাধিকার থাকলে মেলা প্রাংগন ফাঁকাই থাকত।

আগে দেখেছি, ভবঘুরেদের আটকাতে রেলস্টেশনে টিকিট ছাড়া ঢোকা যেত না। যারা যাত্রী নন, তাদের প্লাটফর্ম টিকিট কাটতে হতো। আমি বইমেলায় ঢোকার জন্য টিকিট চালুর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। একশো টাকার নিচে তো বই হয় না। একশো টাকা দামের টিকিট হলে ভবঘুরে বা বেড়ানোর লোক নিরুৎসাহিত হতো। বই কিনে পাঠক তার টিকিটের টাকা বইয়ের দামের সংগে সমন্বয় করে নিতে পারেন। পাঠক যতবার যাবেন, ততবার টিকিট কিনবেন। যারা বই কিনবেন না, তারা বইমেলায় যাবেন না। করোনাকালে 'প্রাণের মেলা'র দোহাই দিয়ে ভিড় বাড়াবেন না। আড্ডা দেওয়ার জন্য শহরে হাজারো জায়গা আছে। সেখানে যান। বইমেলা পাঠকের কাছে ছেড়ে দিন।

টিকিট বিক্রির ব্যাবস্থা ব্যাংকের মাধ্যমে করা যায়। মেলা শেষে প্রকাশক/ বিক্রেতা ব্যাংকে টিকিট জমা দিয়ে টাকা তুলে নিতে পারেন।

মেলা নিয়ে যাদের এলার্জি, তারা যাবেন না। যাদের ইচ্ছা, তারা টিকিট কেটে যাবেন।

এ দেশের মানুষ বই বেশি কেনেন না। বই কেনা বাজে খরচ মনে করেন। শার্ট, জুতা কিংবা শাড়ির দাম যত হাজার টাকাই হোক না কেন, বইয়ের দাম পাঁচ-ছশো হলেই মাথায় বাজ পড়ে। একজন আমাকে সারমন দিয়েছিলেন, লেখকের সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে না? বই লিখে রয়ালটি পেতে হবে কেন? লেখকের শ্রম, কাগজ-কালির দাম, প্রছদশিল্পীর সন্মানী, প্রকাশকের বিনিয়োগ সব আসমান থেকে আসবে! আর লেখক? বই লিখে আয়-রোজগার করা যেন মহাপাপ!

কেউ কেউ ইতিমধ্যে হিসাব করে ফেলেছেন, বই লিখে আমি নাকি কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছি! এরা অতি বুজুর্গ। এরা বই কেনে না, পড়ে না। প্রকাশনা নিয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই।

একটা জিনিস বুঝি না। আমার যে বইগুলোর দাম কম, এই ধরেন, মুদ্রিত মূল্য দুশো থেকে তিনশো, সেগুলোর বিক্রি কম। এটা আমার কাছে একটা রহস্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়