শিরোনাম
◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫ ◈ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে: প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:০৭ সকাল
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বকৃত নোমান: যদি হেফাজতকে রাজনীতির দাবার গুঁটি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে এদেশের ভবিষ্যৎ গভীর গহীন অন্ধকারে তলিয়ে যাবে

স্বকৃত নোমান: দেখলাম হেফাজতের একদল হরতাল সফল করতে ঘোড়ায় চড়ে রাস্তায় নেমেছে। থালা দিয়ে ঢাল বানিয়েছে, লাঠি দিয়ে তলোয়ার বানিয়েছে। কারণ তারা মনে করে এখনো মধ্যযুগ। যুদ্ধ এখনো এভাবেই হয়। দস্যু বখতিয়ার খিলজি এভাবেই ঘোড়ায় চড়ে এসে বাংলা দখল করেছিলো। অতএব তাদেরও ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করতে হবে। কিন্তু যুদ্ধটা কার বিরুদ্ধে? নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে? মোটেই না। তাদের যুদ্ধ এদেশের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। সে কারণেই তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীত একাডেমিতে হামলা চালিয়েছে। তাদের যুদ্ধ জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে। সে কারণেই তারা গণগ্রন্থাগার পুড়িয়েছে। তাদের যুদ্ধ অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে। সে কারণেই তারা হিন্দুদের মন্দির ভাংচুর করেছে। তাদের যুদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। সে কারণেই তারা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করেছে। সর্বোপরি তাদের যুদ্ধ এ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তাই তারা রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়েছে।

তারা এতো সাহস কোথায় পেলো? পেলো রাষ্ট্রের চালক আওয়ামী লীগের কাছ থেকে। আওয়ামী লীগ টানা আট বছর ধরে তাদের প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। প্রশ্রয় পেতে পেতে তারা এখন নিজেদের একেকজন খালিদ বিন ওয়ালিদ, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি, ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাই ভাবতে শুরু করেছে। আমরা আওয়ামী লীগকে বারবার সতর্ক করেছি। আওয়ামী লীগ আমাদের কথা শোনেনি। লেখক-সংস্কৃতিকর্মীদের কথা আওয়ামী লীগ শোনে না। দলটি মনে করে, লেখক-সংস্কৃতিকর্মীরা তো আমাদের সঙ্গেই আছে, তারা আমাদের ছেড়ে যাবে কই? তারা তো আমাদের কেনা গোলাম। গোলামের কথা শোনার কী আছে? গত কদিন ধরে হেফাজত যে তাণ্ডব চালাল, এরপরও যদি আওয়ামী লীগ সতর্ক না হয়, এরপরও যদি হেফাজতকে প্রশ্রয় দিতে থাকে, এরপরও যদি হেফাজতকে রাজনীতির দাবার গুঁটি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে, তবে এদেশের ভবিষ্যৎ গভীর গহীন অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের শাসনকালে এমনটা হবে আমাদের প্রত্যাশা ছিলো না। এমনটা আমরা প্রত্যাশা করি না। লেখক : কথাসাহিত্যিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়