ফরিদুল মোস্তফা:[২] কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালীতে স্থাপিত রাবার ড্যাম নিয়ে চরম খামখেয়ালীপনা ও তুঘলকি কান্ড শুর” করেছে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সংঘবদ্ধ চক্র।এতে সরকারী কোটি কোটি টাকা খরচ করে ঈদগাঁও নদীতে স্থাপিত পোকখালী রাবার ড্যামের কোন সুফল পাচ্ছেনা প্রান্তিক চাষী, কৃষক ও সাধারণ জনগণ।
[৩] রাবার ড্যাম আগলে থাকা পোকখালী-নাইক্ষ্যংদিয়া ও চৌফলদন্ডী পানি ব্যবস্হাপনা সমবায় সমিতির খামখেয়ালীপনার ফলে সেচ সংকটে পড়েছে এতদ এলাকার সহস্রাধিক একর বুরো ধানক্ষেত।
[৪] রাবার ড্যাম ফুলিয়ে নদীতে আটকানো পানি এর আগে ইচ্ছাকৃতভাবে সাগরে ছেড়ে দেয়ায় প্রয়োজনীয় সেচের পানির চরম পানি সংকটের ফলে এসব ধানক্ষেত এখন ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে। ফলে বিভিন্ন বিলে রোপিত ধানগাছ পানির অভাবে মারা যাচ্ছে।
[৫] এখন খুব শীঘ্রই বৃষ্টি না হলে ফসল তুলতে না পেরে শত কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়বেন চাষী ও কৃষকরা।আর এজন্য রাবার ড্যাম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পোকখালী-নাইক্ষ্যংদিয়া ও চৌফলদন্ডী পানি ব্যবস্হাপনা সমবায় সমিতিকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
[৬] ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, গত ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে রাবার ড্যাম ফুলিয়ে খালের পানি আটকে রাখার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে ধানের বীজতলা তৈরীর জন্য বিলে পানি সরবরাহ করা হয়নি। এতে প্রচুর পানি জমে খাল টইটম্বুর হয়ে যায়।
[৭] তখন উজানের ঈদগাঁও রাবার ড্যাম থেকে পোকখালী রাবার ড্যাম পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার নদীতে লক্ষ লক্ষ কিউসেক পানি জমে দুই পাশের বেড়িবাঁধ উপচে পড়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়।কিন্তু প্রকৃতির দান বিপুল পরিমান এই পানি কৃষকদের কোন কাজে আসেনি।
[৮] আটকানো পানি তখন বিল, বীজতলা ও ধানক্ষেতে সরবরাহ না করে রাতের আঁধারে সাগরে ছেড়ে দেয় পোকখালী রাবার ড্যাম কর্তৃপক্ষ। এতে মাত্র একদিনের ব্যবধানেই নদীর পানি শুকিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে চর জেগে উঠে। এর ফলে সেচের পানির জন্য চরম হাহাকার সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই প্রয়োজনীয় সেচের পানির অভাবে ধুঁকছে সহস্রাধিক একর কৃষিজমি।
[৯] গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদীর কোন স্হানে হাঁটু পানি, আবার কোন স্হানে চর জেগে উঠেছে।চাষীরা জানান, অন্যান্য বছরের মত সেচের পানির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কৃষকদের থেকে নির্ধারিত রেটের চেয়ে কয়েকগুন হারে টাকা আদায় করার জন্যই আগের জমানো পানি ছেড়ে দেয় রাবার ড্যাম কর্তৃপক্ষ।
[১০] আর এখন পানি সংকটের অজুহাতে প্রতিদিন দ্বিগুন ত্রিগুন টাকা আদায় করছে এরা।এতে লক্ষ লক্ষ টাকা বাড়তি দিতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা৷পোকখালীর বাসিন্দা ও ঈদগাঁহ ফরিদ আহমদ কলেজের লাইব্রেরিয়ান নাছির উদ্দীন জানান, শীঘ্রই বৃষ্টি না হলে হাজারো একর জমিতে রোপিত ধানগাছ মারা যাবে।
[১১] আইটি বিশেষজ্ঞ ও পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের সাবেক উদ্যোক্তা মুফিজুর রহমান বর্তমানে রামু উপজেলার দক্ষিন মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সচিব হিসাবে কর্মরত আছেন।মুফিজ বলেন, রাবার ড্যাম কমিটির খাম খেয়ালীপনার ফলে পানি সংকটে পড়ে এখন ধানক্ষেতগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
[১২] এলাকাবাসী জানান, অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে কৃষকদের শোষন করে আসা পোকখালী-নাইক্ষ্যংদিয়া ও চৌফলদন্ডী পানি ব্যবস্হাপনা সমবায় সমিতির কয়েকজন নেতার কলাকৌশলের কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ কোন নির্বাচন হতে দেয়া হচ্ছেনা।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :