মনজুর অনিক: মুখস্ত বিদ্যা ভয়ংঙ্কর তার প্রমাণ করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন। ২৮ মার্চ হেফাজতের তান্ডব লিলার ঘটনায় দায়ের করা ২টি মামলায় ৬ বছর আগে মৃত্যু বিএনপি’র এক এক নেতার নাম মামলায় অন্তভুক্ত করা হয়েছে।
[৩] গত সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বাদি হয়ে নাশকতার অভিযোগ এনে এ মামলা দুটি করেন। গত রোববার হেফাজতের ডাকা হরতালে ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার অভিযোগে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দু’টি করেছে পুলিশ৷ এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৪ জিসেম্বর তিনি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন।
[৪] ওই বছরি ৩ নভেম্বর নাশকতার অভিযোগে একটি মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। পরে কারাগারে বন্দী অবস্থাতে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রচার পেয়েছিল। বিএনপি নেতারা বলছে, হেফাজতের হরতালে তাদের সমর্থন ছিল না। সরকার তাদের ঘায়েল করার জন্য এই মামলাগুলোতে আসামি করেছে।
[৫] বিএনপি’র একাধিক নেতা বলেন,পুলিশের করা পাঁচ মামলার দু’টি মামলার বাদী হয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু শাহাদাৎ মোহাম্মদ শাহীন ও কাজল চন্দ্র মজুমদার। এসআই শাহীনের করা মামলায় ২৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে মৃত বিএনপি নেতা আলী হোসেন প্রধানকে এবং এসআই কাজল ৭ নম্বর আসামি করেছেন আলী হোসেন প্রধানকে।
[৬] বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, কয়েক মাস আগে আমরা তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছি। তাকেও আসামি করার মানে হলো এই মামলা মনগড়া তা প্রমাণিত হওয়া। পূর্বের গায়েবি মামলার আসামিদের তালিকা ধরে ধরে এবং সরকারি দলের লোকজনের প্রেসক্রিপশনে পুলিশ এমন মামলা করেছে। অন্যথায় ৫ বছর পূর্বে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আসা সম্ভব না।
[৭] এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন,মামলার এজাহারের খসড়ায় ভুলক্রমে আলী হোসেন প্রধানের নাম টাইপ করা হয়েছিল। সংশোধন করে আদালতে মামলার কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, আদালতে মামলার যে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে তাতেও মৃত আলী হোসেন প্রধানের নাম রয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :