কাজী হানিয়াম মারিয়া: এর চেয়ে বড় ধৃষ্টতা আর কি হতে পারে। স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে এই যে তান্ডব এর পেছনের হোতারা কারা হতে পারে? প্রতিবাদের ভাষা কিন্তু বেয়াদবির ভাষা থেকে অনেক আলাদা। হেফাজত প্রতিবার আন্দোলনের সময় তাদের মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের নিয়ে আসে। শুধুমাত্র হুজুর বলেছেন বলে ছাত্ররা ভাংচুর করতে থাকে। এই হুজুরেরা আন্দোলনের সময় লুকিয়ে থাকে। মারে এবং মার খায় এই ছাত্ররা। ছাত্ররা সহনশীলতা বা সহমর্মিতার পাঠ নিচ্ছে মাদ্রাসায়? আপাতদৃষ্টিতে প্রতিবাদের মারমুখী ভাষা বাদে তো কিছু শিখছে না মনে হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথির অমর্যাদা হবে তা নিশ্চয় সরকার চাইবেন না বা হতে দেওয়া যায় না। সরকার তাই প্রতিবাদ দমনের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হাতে থাকলেই ভালো হতো। গতকাল থেকে নিউজফিডে একটি ছবি দেখছি, যেখানে একজন দাড়িওয়ালার দাড়ি ধরে টান দিচ্ছে। অনেককেই দেখলাম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দাড়ির উপর রাগ কেন। দেশকে কি কাশ্মীর বানানো হচ্ছে।
ওই ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে একজন দাড়িওয়ালাই আরেকজনের উপর অত্যাচার করছে। এতো রক্ত ত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য। সেখানে এসব ছবি কি মুসলিম অত্যাচারকে হাইলাইট করার জন্য প্রচার করা হচ্ছে না। মসজিদের সামনে কি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা যায় না? একটি ব্যানারের মাধ্যমেই প্রতিবাদ করা যায়। ৭১ এ বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ শরনার্থী ভারতে অবস্থান করেছে। ভারত তাদের থাকা-খাওয়া-চিকিৎসা থেকে শুরু করে আমাদের মুক্তিযাদ্ধাদের ট্রেনিং, অস্ত্র সবই সরবরাহ করেছে।
আমাদের প্রতি ভারত যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো তার প্রতি সম্মান জানাতেই তাদের রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানানো হচ্ছে, ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদিকে নয়। প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সরকারপ্রধানকে অপমান করার আমরা কে, যেখানে তারা তাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। তার প্রতি ক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আনন্দের সময় নিজ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা বোকামি। বি:দ্র: করোনার প্রকোপ আবার বেড়ে গেছে। যতোটুকু সম্ভব এসব গ্যাদারিং এড়িয়ে ঘরে থাকুন। ফেসবুক থেকে, মামুন
আপনার মতামত লিখুন :